আবু কওছর।
সৃজনশীল সাহিত্য সাময়িকী ত্রৈমাসিক "আলোকিত দাওরাই"এর সম্পাদক ও অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য সংগঠন আলোকিত সাহিত্য পরিবার (আসাপ)এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক:তরুণ কবি লেখক, বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের মুল্যবান মুক্তাবলী প্রবাদ প্রবচনের নিরলস সংগ্রাহক ও গবেষক।
শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও সাহিত্যানুরাগী, বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী, ক্রীড়া সংগঠক সাবেক কৃতি ফুটবলার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদিত জনপ্রিয় রেফারি এবং মানবাধিকার কর্মী।
ষড়পল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক ছাত্র, সাবেক শিক্ষক ও অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির ভূতপূর্ব সভাপতি (একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধারে ছাত্র, শিক্ষক ও পরিচালক মণ্ডলীর সভাপতি হওয়া এক বিরল ও সৌভাগ্যময় অভিজ্ঞতা)
তাঁর প্রকাশিত কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থ-
১. ছোট পাখি
২. কবিতা সংকলন কাব্য
৩. অভিযাত্রী
৪. রাতের জোছনা
৫. সঞ্চয়ন
৬. বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা।
এই মহৎ কবির কাব্য সাধনার সোনালী সাক্ষী।


______________________
(২)


আবু সাঈদ মোঃ ওয়াজেদ (লেবু মাষ্টার)
সৃজনশীল সাহিত্য সাময়িকী"দাওরাই জনপদ"এর সম্পাদক।
তরুণ কবি লেখক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও সাহিত্যানুরাগী।
ষড়পল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক। সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সদস্য‌‌‌।
বিশিষ্ট পুরাতত্ত্ব গবেষক:
গবেষণা গ্রন্থ সমূহ:১।বড় ফেছি গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হযরত দাওর বখশ(রঃ) ২।লাউড় রাজ্য সাক্ষ্য দেয় বড় ফেছি গ্রামে দাওর বখশ খতিব(রহঃ)'র মাজার শরীফ অবস্থিত (১ম খণ্ড)
৩।নাম তত্ত্ব।
৪।লাউর রাজ্য সাক্ষ্য দেয় বড় ফেছি গ্রামে দাওর বখশ খতিব (রহঃ)'র মাজার শরীফ অবস্থিত(২য় খণ্ড)
৫। সুনামগঞ্জ'র মাটি ও মানুষ।
তাঁর উপরোক্ত গ্রন্থমালা বিচিত্র বহুদা তথ্যবহুল ও নিরলস শ্রমসাধ্য গবেষণা কর্ম।
____________________________
(৩)


উপরোক্ত এই দুই কৃতি ব্যক্তিত্ব সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলাধীন আশারকান্দি ইউপির দাওরাই গ্রামের বাসিন্দা।
দুজনই সহপাঠী ও এক কালের সহকর্মী ছিলেন।
এতদাঞ্চলের ছাত্র যুবক নবীন কবি লেখক ও কলমদারীদের জন্য এঁরা এক সাহসের বাতিঘর অনেকেরই প্রথম লিখনী আলোর মুখ দেখেছে তাঁদের সম্পাদনায় প্রকাশিত সাহিত্য পত্রে।


আলোকিত এই দুই মানুষকে নিয়ে আমার কলম ধারণের কারন:দুজনকেই আমি ষড়পল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে আমার ছাত্রাবস্থায় শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি। দুজনই অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকষ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী,তাঁরা চাইলে তৎকালে যেকোন আকর্ষণীয় সরকারী চাকুরী জুটিয়ে নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করতে পারতেন কিন্তু নিজের খেয়ে পরের মহিষ রাখালী'র স্বভাব ছাড়তে পারলেন না।বেসরকারি এক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হলেন শখের মাষ্টার।এই অধম আলোর পথে দুচার কদম অগ্রসর হয়েছি তাঁদের মহান জ্ঞানের আলোকধারায়। সুতরাং তাঁরা আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষা গুরু।


অতঃপর শুরু এবং শেষ এখানেই নয়,তারা তাদের শখের মাষ্টারি ছেড়ে দিলেও শিক্ষা ও সাহিত্যের আলোক সন্ধানের পথ ছাড়েননি অদ্যাবধি। এবং আমিও লেখাপড়া ছেড়ে দিলেও শিক্ষা ও সাহিত্য জগতের ছাত্রানাম অধ্যয়নং তপঃ এখনো ছাড়িনি, অতএব প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক ছিন্ন হলেও আমাদের মধ্যে ভাব এবং ভাবনার আদান-প্রদান নিরবধি চলে।


দুজনই অত্যন্ত স্নেহের নজরে দেখেন আমায়, আমি নিজেকে কখনো কবি হিসাবে সনাক্ত করিনি কিন্তু তাঁরা আমায় সাহিত্য সংস্কৃতির আড্ডায় লোক সম্মুখে কবি হিসাবে উপস্থাপন যখন করেন।তখন বড় বিব্রতবোধ করি আমি। কিন্তু আমার এই শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক দ্বয়ের চোখে যখন দেখি স্নেহের গর্ব ও আনন্দের ঝিলিক তখন নম্রশিরে মেনে নেই এই কবি তকমা।
তাছাড়া আমার বিশ্বাস গুরবাক্য কখনো বিফল হয়না।
কবি হিসেবে আমার এই যুগল শিক্ষা গুরু'র আশির্বাণীই বোধহয় আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিরোপা।


তাছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি মরহুম আল মাহমুদ কে অসুস্থাবস্থায় তাঁর বাসায় দেখতে গিয়ে যখন কবিকে নিয়ে আমার স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনাই তখন স্নেহের আনন্দাশ্রু চিকচিক করতে দেখি কবির চোখে।কবি আমায় বলেন:"বাবা এই প্রসংসা বিমুখ সমাজে তোমাকে কেউ কবি বলবেনা, তুমি লিখতে থাকো আর পড়তে থাকো "একদিন নিজেই তুমি আবিষ্কার করবে তুমি একজন কবি।"
"এই বয়োবৃদ্ধ ও চোখের অসুখে প্রায়ান্ধ(অন্ধ) কবি আল মাহমুদ তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতা ফসল "সোনালী কাবিন" উপহার দিয়ে তোমাকে কবিতা লিখার অনুপ্রেরণা দিলাম দোয়া রইলো তোমার প্রতি।"


কবি আল মাহমুদ আজ লোকান্তরে, মরহুম কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।


এবং আমাদের মধ্যে এই আলোক স্রোতধারী দুই ব্যতিক্রম প্রতিভা আমার শ্রদ্ধেয় আবু কওছর স্যার আর আবু সাঈদ মোঃ ওয়াজেদ (লেবু মাষ্টার) স্যারকে, আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আর সালাম।
তাঁদের কবি কৃতি ও সাহিত্য কর্মের আলাপ আলোচনা করবার আশা রাখি অন্যদিন অন্য অবসরে।


আলোচকঃ
মোঃ সাদিকুর রহমান রুমেন।
কবিও সমালোচক।
গ্রামঃ জামালপুর,থানাঃ জগন্নাথপুর, জেলাঃ সুনামগঞ্জ,
বাংলাদেশ।
তারিখ:২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রীঃ।