কোন পুরস্কার চাইতে আসিনি
আমরা এদেশের লাখো শান্তির দুত
অশান্তির প্রেতাত্মা দমন করতে এসেছি,
এদেশের কোটি কোটি শান্তিকামী মানুষকে,
শান্তির অমিয় বাণী শুনাতে এসেছি।


মানবতা সমুন্নত করে,মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার চাইতে এসেছি।
রাজাকার, আলবদর,আলশামস, নামধারী,
নারী শিশু গণহত্যা গণধর্ষন নারী নির্যাতন কারীদের,ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি।
মানবতার কোমল মাংসে বিঁষ দংশনের
বিঁষদাঁত উঁপড়ে দিতে এসেছি।


আমরা এদেশে ন্যায় ধর্মের নামে
অন্যায় অধর্মের বাড়াবাড়ি রোধ করতে এসেছি।
আমরা অন্নবস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা
ও চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষকে,
বুলেট বোমা ধারালো অস্ত্রাঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে চিরদিনের ঘুম পাড়ানি
মাঁসি পিঁসির গল্প শুনাতে আসিনি,
আমরা মৌলিক মানবাধিকার এবং
চির জাগরনের কবিতা শুনাতে এসেছি।


আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের আন্তরিক
কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি।


আমরা মীরজাফরের প্রেতাত্মা ও মীরজাফরের জারজ বংশদরদের মুখে
ঘৃনার থুথু ছিঁটাতে এসেছি।
আমরা এদেশের প্রথম মুক্তিকামী
শহীদ নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও মীর মদনের
বিদেহী আত্মার কাছে আমাদের স্বাধীনতা লাভের সংবাদ এবং আমাদের স্বাধীন সত্তার অভিনন্দন জানাতে এসেছি।


আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ
এবং এদেশের তাবৎ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহীদের মহান স্মৃতিতে,
আমাদের প্রানের শ্রদ্ধার্ঘ দিতে এসেছি।
আমরা এ দেশের সকল ফুলবাগানে
গণতন্ত্রের সূর্য্যমুখি এবং মানবতার সুগন্ধি গোলাপ ফুঁটাতে এসেছি।


গণজাগরণ মঞ্চ গঠনের সময়।
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ খ্রীষ্টাব্দ
২৭ মাঘ ১৪১৯ বঙ্গাব্দ।