(১) পুলিশ।
থানার গেটে লেখা থাকে সেবাই পুলিশের ধর্ম
কর্ম দেখলে বুঝতে পারি কথাটির
আসল মর্ম।
বেত্রাঘাতে জর্জরিত আমজনতার চর্ম।


পুলিশের লাটির ভয়ে সদায় থাকেন
জনগন বেঁহুশ,
থানায় বসে বড়কর্তা খান,মোটা অঙ্কের ঘুষ।
সিঁপাইসান্ত্রী যত আছে তারা ও যায়না কম
ঘুষের টাকায় পান তামাক খায় তারা হরদম।


কিল ঘুষিতে পুলিশ কর্তারা ওস্তাদ বেশ ভারী
ঘুষের টাকায় খরিদ করেন জমিজমা গাড়ী,
স্ত্রীপুত্রদের জন্য কিনেন বিলাসবহুল বাড়ী,
ছুটি পেলে বউ নিয়ে বিদেশ আসেন ঘুরি।


(২) হাসপাতাল
অসুখ বিসুখ হলে হাসপাতালে যাই
সেখানেতেও গিয়ে দেখি শান্তি বিশেষ নাই,
রোগেশোকে আধমরা সব করছেন হায় হায়
ডাক্তার আসবার আগে রোগী মারা যায়।


(৩) আমলা।
আমলা তন্ত্রে আমলা মুনিরা ভীষন আমলদার
ঘুষ না পেলে খুলতে চান না অফিস কক্ষের দ্বার।
আমলাতন্ত্রের জঠিল মন্ত্রের গুরুগম্ভীর ডাকে
গণতন্ত্র বাঁধা পড়েছে আমলাদের সাতপাঁকে।
কোর্ট কাচারীর হোমরা চোমরা সকলে একজোট
ঘুষ না পেলে ফরিয়াদিরে দেয়যে ভীষন চোট।


(৪) রেলগাড়ি।
রেলগাড়ীর হর্তাকর্তারা মস্ত জাঁদরেল
চুরি করে বিক্রি করেন রেল ইঞ্জিনের তেল।
সময়মত ট্রেন চলেনা পথে সদায় লেট
টিটি'দের জামা'তে থাকে গোটা ছয় পকেট।
রেলের টাকা মেরে সেই পকেট হয় ভারী।
রেলের জমি নিয়ে তারা করেন জমিদারী।


(৫) বিমান।
বিমানবন্দরে দেখতে পাই কর্তারা বড় ফিট
ঘুষ না দিলে যাত্রীকে বলেন ষ্টকে নাই টিকিট,
এই যন্ত্রনায় খালি পড়ে থাকে প্লেনের বেশী সিট।
যাত্রী সেবায় তারা বাঁধান সদায় গণ্ডগোল
সময়কালে মিসফ্লাইট হয় প্লেনের সিডিউল।


(৬) কাষ্টম।
কাষ্টমঘরের বোষ্টম বাবুরা চোখ থাকতে অন্ধ
ঘুষের চশমা চোখে দিয়ে কয় চোরাচালান বন্ধ।
নাকটি তাদের উঁচু ভীষণ নহে তাহা মন্দ
ঘুষ না পেলে বৈধমালেও খোঁজেন চোরাই গন্ধ।


*যে দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকুক রাষ্ট্র যন্ত্রের এসব চাকর নোকরদের চরিত্র বরাবরই এক।
এরা ঘুষ দুর্নীতির মত হারামখোরীকে
নেক কর্ম মনে করে।
যে সময় যে দল ক্ষমতায় যায় এরা সেই দলের নেতাদের পদলেহনের মাধ্যমে ঐ সময়কার ক্ষমতাভোগীকে ঘুম পাড়িয়ে নিজেদের বশীভুত করে ফেলে।