আমি লিপস্টিক তুচ্ছ ও নগন্য প্রসাধনী মাত্র, প্রতিদিন অসংখ্য সুন্দরী রমনী আমাকে সযত্নে চুমো খায়,
আমি অনায়াসে লেপ্টে থাকি তাদের ঠোঁটের আগায়।
অথচ এই সব রমনীর নরোম কোমল ঠোঁটের সামান্য স্পর্শ পেলে বর্তে যায়
যে কোন পুরুষ।


যে যুবতীর ঠোঁটে সামান্য চুমু খেতে অনেক প্রেমিক পুরুষ,তার সামান্য সম্মতি বা অনুমতি প্রার্থনা করতেও লজ্জা বা ভয়ে ম্রীয়মান,আমি নির্ধিদ্বায় নির্বিঘ্নে তাঁর ঠোঁট ও লেহন করতে পারি।
এর চেয়ে আর বড়ো প্রাপ্তি কী হতে পারে সামান্য জড় বস্তূ বা পদার্থের?


জন্মাবধি কত সহস্র কোটি নারী সান্নিধ্য পেয়েছি তার কোন ইয়ত্তা নেই।
রাজরাণী থেকে সাধারণ রমনী,স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী,
গায়িকা নায়িকা গনিকা সুশীলা কুশীলা,
কুমারী সদবা, বালিকা নাবালিকা।


ব্ল্যাকবোর্ডে খরি মাটির চকের মতো
আমি মেয়ে মানুষের ঠোঁটের উপর বক্ররেখা এঁকে এঁকে প্রতিনিয়ত ক্ষয় ও নিঃশেষ হতে থাকি,এতে আমার লেশমাত্র
ভ্রুক্ষেপ আক্ষেপ নেই।


কিন্তু যখন কোন অসহায় অবলা রমনী
নিতান্ত অনিচ্ছায়, পেটের দায় ও নানাবিধ কূট কৌটিল্যের ফাঁদ ফাৎনায় পড়ে,আমাকে ঠোঁটের উপর মেখে নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার অপবিত্র শয্যায়, সেজেগুজে প্রেম ও মমতাহীন পাশবিক ক্রীড়া,ও উল্লাসের দোকানদারী করে।


কোন হৃদয়হীন ক্রেতার কাছে নিজের পেলব দেহ ও ঠোঁটের লাবন্য বিক্রি করে,নিঃস্ব,নিষ্পেষিত,ও রিক্ত হতে থাকে, আমি তখন লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রাখি, হৃদয়ের গহীন থেকে উৎসারিত ঘৃনা ও বেদনায় অশ্রুপাত করি, অসহায় ওই রমনী ও নিজের এমন দুর্ভাগ্যের জন্য।