ছোটবেলায় পাখি পোষার শখ ছিলো
খাঁচা ও বানিয়েছিলাম পাখি পোষবার,
অনেক যত্নে পোষেছিলাম একটি শালিক
কিন্তু পোষমানলো কিনা তা জানবার আগেই
যতনে পোষা শালিকপাখির প্রাণের খাঁচা থেকে প্রাণ পাখিটি উড়াল দিয়ে গেলো,
একারণে মনটি ভীষণ ভার হলো আমার।


প্রিয়তম পাখিটি হারাবার মুহ্যমান শোকে
জানিনে কী সান্ত্বনা দেব যে নিজেকে?
নিজের দানা পানি যোগাতে
কখনো পাখিটিকে হয়নি ভাবতে
আমিই নিয়েছিলাম সেই গুরুভার
নিজ হাতে আমি তাকে করাতাম স্নানাহার।


জীবনের মেয়াদ শেষে পাখি গেলো নিরুদ্দেশে,
খাঁচাতে যে পুঁড়েছিল সেই তারে মুক্তি দিল
শুন্যখাঁচা দেখে ভেবেছি বারবার,
পাখিটি আমার নয়- খাঁচাটি নিশ্চয় আমার?


এইযে আমার দেহখাঁচা প্রাণতায় খাঁচাবন্দী পাখি,
বন্দীবাস শেষ হলে প্রাণপাখি উড়াল দিলে
সাধ্যকি আমি তাঁরে আর ধরে রাখি?
পাখিহীন শুন্যখাঁচা নিস্তেজ নিথর
মাটির তৈরি খাঁচা মিশেযাবে মাটির ভিতর।


তারিখঃ২৬ মে ২০১৩ খ্রীঃ