১.
শীত এলে পড়ি-
চোখের পাতায় লেখা ঘুমের গল্প!


শীত এলে দেখি-
বাতাসের তাড়া খেয়ে মেঘের উড়াউড়ি!
কুয়াশার চাদর গায়ে
শীতভোরে সূর্যোদয়!
রোদের আদর খুঁজে পাখির পালক!


শীত এলে দেখি-
গরু নিয়ে মাঠে যায়, খালি পায়ে ছিন্নবস্ত্র রাখাল বালক।
নগরীর আকাশচুম্বী অট্রালিকার ধারে ফুটপাতে শুয়ে থাকা কেউ  গরম জামাকাপড় নেই গায়ে, খালি পায়ে স্যাণ্ডেল ও নেই!
শীত যে উষ্ণতা বিলাসের মৌসুম, রাখাল বালক আর উন্মুল উদ্বাস্তু মানুষের তা অজানা?
কিন্তু শীতের পাতাঝরা গানশুনে, জননীর বুকে লেপ্টে থাকা দুগ্ধপোষ্য শিশু ও তা জানে।
সঙ্গম শেষে বাথটাবে গরমজলে স্নানরত যুগল! যে প্রেমিক মুখ গুঁজে প্রেমিকার বুকের গম্বুজে! তার ও অজানা নেই।
২.
শীত এলে উষ্ণতাই প্রাণের প্রথম দাবি!
এ নিয়ে কবিতা লিখেনা কোন কবি।
অথচ আমি উষ্ণতা চাই তুমি ও উষ্ণতা চাও! জামা জুতো চাদর জড়িয়ে গায়ে! মোজা পড়ে বুট জুতা পায়ে! শীতের পিঠা উৎসবে তুমি যাও!
বাউণ্ডুলে কুকুর কুণ্ডলী পাঁকিয়ে শুয়ে থাকে রাস্তার ধারে! শীতার্ত মানুষের দল! যারা উষ্ণতার দাবি নিয়ে রাজপথে কোনদিন মিছিল মিটিং করতে পারে না, তাঁরাও কুণ্ডলী পাঁকিয়ে শুয়ে থাকে উদাম গতরে!
রয়ে সয়ে মরে যায়!ঝরে যায় শুকনো পাতার মতো!
শীত এলে দেখি কেবল কুয়াশা! কেবল দেখি পাতা ঝরে!
শীত আসে শীত যায়!
কে তার হিসাব রাখে?
শীত এলে কত পাতা ঝরে? কে তার হিসাব রাখে? শীতার্ত পৃথিবীর, বনজঙ্গল! গ্রামগঞ্জে শহর নগরে, কত প্রাণী, ছিন্নমূল উদ্বাস্তু উন্মুল! শীতবস্ত্রহীন কত মানুষ! কত শিশু মরে?