সবে তাহা অনুভবে   লালন করিয়ে,
বিন্দুর ঘনত্ব জ্ঞান   অক্ষম মগজে।
সাহিত্য বোধগম্য ক্লান্ত ভাবিয়ে,
ক্ষুদ্র মুণ্ড যে পরিধি   ভুল করি কাজে।
লেখায়  থাকে  যে ভাষা দুনিয়া ভুলিয়ে,
আনমানা মন রুপান্ত  সার্থ পিছে গুজে।
সৃষ্টির ভাব লইয়া   ধীরে যে হারিয়ে,
পরকাল খোয়ানো যে লুকে থাকে ভাঁজে।


ভয় জাগিয়ে ছে মনে  পিছে সিংহভাগে,
পথভ্রষ্ট লেখা বিধান অমঙ্গল ডাক।
সৃষ্টির সৃষ্টি ভুলে সে ভুলে যায় আগে,
শব্দ বল মুখ ভান্ডে বাকি ভুল বাঁক।
মহা চিন্তা মুক্ত বাণী আধা পথ ভুগে,
পুষ মত সব ভুল সবে যা তা দিকে।




অতিশয় ক্ষুদ্র   চিন্তা  নগণ্য যে মন,
সাহিত্য চিন্তার মহা  সহিত তা ভুল।
আলোতে ডাকি আধার নাই যে লগন,
বড় সে ফারাক্কা মাঝে বিদায় মঙ্গল।
নিজ সহিত দুষণ  না করি রঙ্গন,
সাহিত্য যে সৃষ্টিশীল   আধার আলো।
মুখ বাণী তাহা ভুল অতীত লেখন,
নিজ কর্ম বিস্তার সে বিপথ তে চল।


ক্ষুদ্র চিন্তা নিজ মন সাধ্য নয় মুক্তি,
সাহিত্য চিন্তা যে মহা  ভাবের যে বন্দি।
অর্থ খুঁজে সাহিত্য যে আজ লগ্ন  যুক্তি,
বিলাস মন জগত  আলাদা যে সন্ধি।
ধর্ম নামে অকর্ম লেখা   উদায় প্রকৃতি,
জ্ঞান তা বিকারগ্রস্ত   মুখে ছড়া ফন্দি।



জগত মায়া যে ভুলে  কল্পনা সাহিত্য,
অতীতে লেখায় খুঁজে  অভাবিত গল্প।
সব ভুলে খুঁজে নিজ   আপন জগত,
যতটা লেখার  বলে  ভাব শুন্য  গল্প।
আবেগ গতি আলোক  থাকে মন মুক্ত,
পর ইহ নাই তার   ঢাকে যে কলপ।
ভাবনার কাজে অমিল মুখে থাকে নত,
নিজ আকাশের তারা  লুকে থাকে লোপ।


সমাজ খ্যাতি ভাবনা  মগজে যে বসে,
মন ক্ষুধা মনোরঞ্জ সাহিত্যে তা ফলে।
তা সহিত নীতি বাক্য  কর্ম থাক বসে
মুখরোচক খাদ্য গুণ  রম্য তৃপ্তি নিলে।
নিজ গুন বিসর্জনে  মন যে বয়সে,
উদায় বোধ যে জাগে ধৃষ্ট গেলে চলে।