মনের ভেতর অনেক প্রশ্নের আনাগোনা
উত্তর পাই না খুঁজে তার
তাই করেছি এ লেখার অবতারণা ।


হে ভগবান , এ কেমন বিচার তোমার ?
বৃদ্ধ পিতার কাঁধে যুবক পুত্রের মৃতদেহের ভার !
চারিদিকে কত রুগ্ন , পঙ্গু , অশক্ত , জরাজীর্ণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা
দিবারাত্র করছে মৃত্যুকামনা ,
না পেরে সইতে আর জীবনযাতনা !
পরে না কি তা তোমার চোখে প্রভু ?
তবে কেন তুমি কেড়ে নাও বৃদ্ধ মায়ের অন্ধের যষ্ঠি ,
কেন যুবতী স্ত্রীর সিঁথি হয়ে যায় সাদা,
কেন অবুঝ শিশুর মাথা থেকে সরে যায় পিতৃস্নেহের হাত ?
কেন ভেঙ্গে পরে একটি পরিবারের প্রধান স্তম্ভ ,
কেন কতশত রঙ্গীন স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে যায় ?
ঈশ্বর , তুমি মঙ্গলময় , তুমি করুণাময়
কিন্তু আমি সামান্য মানুষ
বুঝিতে পারিনা প্রভু তোমার অপার করুণা !
তাই প্রশ্নে প্রশ্নে রক্তাক্ত হয় আমার এ ক্ষুদ্র হৃদয় !
আমার এ স্পর্ধা তুমি ক্ষমা করো প্রভু
পারিনা বুঝিতে তোমার লীলা কভু কভু !


প্রশ্ন আরও আছে
তা আমাদের সমাজব্যবস্থার কাছে ;
যে মুখ চুম্বন করেছে কোনও পিতা পিতৃস্নেহে
যে মুখে প্রণয় চুমিয়াছে কোনও স্ত্রী প্রগাঢ় ভালোবেসে
অথবা পুত্রের কাছে পিতার যে মুখ অতি প্রিয়
হায় ! সমাজের কি নিষ্ঠুর নিয়ম !
নিজ হাতে সেই মৃত মুখে করতে হবে অগ্নি সংযোজন !
তবেই নাকি সেই প্রিয়জন করবে স্বর্গারোহণ !
অগ্নিতে পুড়ে ছারখার হবে প্রিয়জনের দেহ
এটাই নাকি মৃতের প্রতি পরিজনের পরম কর্তব্য !!
প্রভু, বলবে কি আমায় ,
কে লিখেছিল এই শাস্ত্রীয় বিধান
স্বর্গের অভিধান নাকি মর্ত্যের বিজ্ঞজন ?
দেব রূপে তুমি ?
না, নর রূপে তোমার কোনও ‘সুসন্তান’ !!