দমকা ঝোড়ো হাওয়ায় ছাতাটা উল্টে গেলো
প্রচণ্ড জোরে বৃষ্টি পড়ছে
এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা বড় গাছের নীচে আশ্রয় নিলাম ।
একটা মিষ্টি গন্ধে জায়গাটা ভরে আছে...
গন্ধের উৎসের খোঁজে উপরে তাকাতেই দেখি –
প্রথম কদম ফুল !


এক লহমায় মনে পড়ে গেলো কোন সে অতীতের এক শ্রাবণী সন্ধ্যা
সেদিন ছিল পূর্ণিমা
শ্রাবণের অঝোর ধারায় ভেসে যাচ্ছে পূর্ণিমার মোহময় রাত...
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সেদিনও তুমি আর আমি আশ্রয় নিয়েছিলাম এক কদম গাছের নীচে
নির্জন পরিবেশ , মায়াবী চাঁদের আলোয় অবিরাম বর্ষণ আর সদ্য যৌবন
তোমাকে আমাকে নিয়ে এসেছিলো কাছে...আরও কাছে !
তোমার প্রথম স্পর্শে আমার শরীরেও ফুটেছিল কদম ফুল ,
আমি আনন্দিত , শিহরিত , কণ্টকিত হয়ে উঠেছিলাম !!
তোমার প্রশস্ত বক্ষে মুখ রেখে তোমার বাহুদরে বাঁধা পড়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম ছোট্ট এক নীড়ের
তুমিও কত কথা বলেছিলে , কত কথা দিয়েছিলে.........
কিন্তু কেন সে কথা রাখলে না তুমি ??
শ্রাবণের কদম ফুল কেন শীতের ঝরা পাতা হয়ে রিক্ত , নিঃস্ব করে দিয়ে গেলো আমাকে ?
তোমার কাছে হয়তো তা ছিলো শুধুই খেলা
খেলা শেষে খেয়ালী হৃদয়ে চলে গেছো অন্য কোনও খেলার খোঁজে ;
কিন্তু আমি যে আজও একাকিনী এ জীবন সমুদ্রে
পারিনি আর কাউকে ভালবাসতে , বিশ্বাস করতে ;
আমার জীবনের প্রথম কদম ফুল হারিয়ে গেছে মহাকালের অনিশ্চিত গর্ভে ।।