চারিদিকে রব উঠেছে “বর্ষবরণ বর্ষবরণ”
কি জানি কি এক মনোহরণ !!
হোটেল , ফ্লোটেল, মোটেল, বার
আকর্ষণ তাদের অনির্বার...
উঠেছে সেজে দুরন্ত আলোকসজ্জায়
আমাদের কথা কি কেউ ভাবে ? হায় !!


এইতো ঠিক এক বছর আগের কথা
কোটি টাকা খরচ করে,
অনেক আলোয় সেজে,
নাচ, গান, পার্টি আর খানাপিনা করে
নতুন বছরকে তোমরা বরণ করেছিলে ;
আজ সে হয়েছে পুরানো
তাই তাকে দিচ্ছো সরিয়ে অবহেলে...
যেমন আমাদের দিয়েছ ফেলে পথের ধূলে !
বছর বছর যত টাকা তোমরা খরচ করো
মাত্র একটা রাতের পার্টি আর আলো...
কখনও ভেবেছো কি তোমরা ?
তার সামান্য কিছু অংশ পেলে আমরা
এই পথশিশু আর পথের মানুষগুলো
পেতে পারতাম কনকনে শীতে একটা কম্বল,
ছোট্ট একটা ঘর হয়ে উঠত সম্বল,
দু বেলা দু মুঠো ...না না...বিরিয়ানি নয়......
ভাত......মোটা চালের ভাত......
তৃপ্তি দিতে পারতো আমাদের ক্ষুধার্ত শরীরকে !
একটা শীতবস্ত্র
উষ্ণতা দিতে পারতো আমাদের শীতার্ত শরীরকে !


কিন্তু প্রদীপের নীচেই তো থাকে
সবচেয়ে বেশী অন্ধকার !
তাই আলো ঝলমলে ফ্লাইওভার এর
নীচেই থাকি আমরা !
নাইট ক্লাবে স্ফূর্তি করে ফেরার পথে
সেই খোলামেলা ঝুপড়ি থেকে
টেনে নিয়ে যাও তোমাদেরই কেউ কেউ
আমাদের কোনও যুবতী দিদি বা বৌদিকে
আরও বেশী স্ফূর্তির জন্য !!
দুদিন খবরের কাগজ আর টিভি মিডিয়াতে হইচই
তারপর সব শান্ত , নিথই !


অন্ধকার ছিলো, আছে, থাকবে...
গরিবি না থাকলে
বুঝবে কেমন করে
তোমরা কত বড়লোক ?
আমাদের মতো গরীবদের জীবনকাহিনী
দিয়েই তো ভরিয়ে তুলছো তোমাদের লেখনী ।
শুধুই কি সাহিত্য ? সিনেমাও আছে !
“সিটি অফ জয়”, “স্লাম ডগ দি মিলিওনিয়ার”
এনে দিয়েছে তোমাদের সেরা সাহিত্যিকের সম্মান,
একাডেমী পুরস্কারের মান !


তাই গরিবি থাকুক
ধূলায় মিশে থাকুক আমাদের জীবন
দূর থেকে শুনি তোমাদের বর্ষবরণের গান......