নিঝুম রাতে পথ মাড়িয়ে
আমি হাঁটি আমার শহরে।
রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে
জীবন বাঁক নেয় প্রতি মোড়ে।


হাঁটতে গিয়ে রাস্তা দিয়ে—
কষ্টগুলো রেখেছি বুক-পকেটে;
স্বপ্নগুলো উড়ে আমার সাথে—
আঁধার রাতে বাদুড় হয়ে।


হেঁটে যেতে— কোনো রাতে
দাঁড়াই তার বাড়ির সামনে,
রঙিন-বাতি অনেক জ্বলছে,
আজ কেউ নেই বারান্দাতে।


টিন-সিমেন্টের বাড়ি ছেড়ে
কষ্টগুলো ঘোরে পথে পথে।
লক্ষ লক্ষ দীর্ঘ নিঃশ্বাস সরিয়ে— হাতে,
আমি হেঁটে চলি আমার পথে।


হাঁটছি আমি নিঝুম রাতে,
হয়তো চাঁদ রয় না আকাশে।
হাঁটতে গিয়ে পূর্ণিমা রাতে, দেখি—
সুকান্ত তাকিয়ে আছে চাঁদের দিকে।


বাসায় গিয়ে মমতা-ঘরে,
কথা বলি ভালোবাসার সাথে।
স্বপ্ন-বাদুড় দরজার ধারে—
ঝুলে থাকে কোন গাছে।


দুপুর বেলা তিক্ত রোদে
আমি হাঁটি আমার শহরে।
রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে
জীবন বাঁক নেয় প্রতি মোড়ে।


হাঁটতে গিয়ে রাস্তা দিয়ে—
কষ্টগুলো রাখি বুক-পকেটে;
স্বপ্নগুলো চলে আমার সাথে—
দুপুর-রোদে ধাঙড়-বেশে।


পকেটে ভাড়া না থাকলে
হিমু হয়ে হাঁটি পথে।
আমি বলি— ভালো আছি,
রূপার সাথেও হয়নি আড়ি।


ক্ষুধার রাজ্যে প্রজা হয়ে,
কষ্টগুলো ঘোরে রাজপথে।
লক্ষ লক্ষ দীর্ঘ নিঃশ্বাস সরিয়ে— হাতে,
আমি হেঁটে চলি আমার পথে।


হাঁটছি আমি ঝিম-দুপুরে,
হয়তো মেঘ রয় না আকাশে।
হাঁটতে গিয়ে বাদল দিনে, ভাবি—
বনলতা সেন হাসছে আমায় দেখে।


রাঁধছে মা— রান্নাঘরে,
ভাত বেড়েছে মমতা দিয়ে;
স্বপ্ন-ধাঙড় অভুক্ত হয়ে
বসে থাকে দরজার ধারে।


সাথে আছে সকাল-সন্ধ্যা,
আরো আছে ভোর-বিকেল।
জীবন চলে জীবন নিয়ে
পথের সকল বাধা ভেঙে।


হয়তো জীবন গদ্য কিংবা
ছন্দময় কোনো এক পদ্য;
যেটাই হোক না কেন,
জানি— সেটাই বড় সত্য।


(কবি তাঁদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে : জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্য ও হুমায়ূন আহমেদ।
লেখক এই কবিতাটি তার কাছের বন্ধু ও কবি মেহেদী হাসান হৃদয়কে উৎসর্গ করেছে।)