মৃত্যুর জন্য ক্ষুধার্ত, এক দারুণ ক্ষুধা!
দারুণ নয় কি? ইতিহাস রচে এই মৃত্যু ক্ষুধা;
রণক্ষেত্রে সাজায় বীর, পৈশাচিক আনন্দ দেয়।
বুলেট বোমায় বাজায় দামামা, রক্তে ভাসে কত শত!
আগুন ধোঁয়ায় বিধ্বস্ত নগরী, মাংসে দেয়ালে বিঁধেছে বুলেট,
লোহার দানব ছুটছে-ছুটছে দুমড়ে-মুচড়ে শস্যখেত।
এতদ্দ্বারা শান্তির সাদা রঙ হাড়ে গড়া প্রাসাদে নিমন্ত্রণ;  
করোটি বাঁধানো পানপাত্র হাতে জেনারেল, লোভের নেশায়!
ক্রুসেড ত্রাসের খিদের সাধ, খুঁজেছ স্বর্গ নরক এনে;
সাম্যের গানে চলে শোষণ, মানবতা পুস্তকে আবদ্ধ নীতিকথা।
দেয়ালে আড়ালে মরণ লুকিয়ে, মুখোশ মানব হরেক রকম;
পিঠের পিছনে কিংবা চোখের সামনে কিংবা নিজের ভিতরে।
ভালোবাসা বাঁচাতেই দ্রোহ আনো, চক্ষুর বদলে অন্ধের মতোনা;
বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য, ছোট ভাই-বোনের জন্য,
প্রিয় মানুষটির জন্য, এক টুকরো মাটির জন্য, শিশুর জন্যও।
তবে যাও যুদ্ধে, ভাসাও তরী মিছিলে; উৎকৃষ্ট পটভূমি!
হেলাল হাফিজের আহ্বানে সায় দিয়ে চলো চলো;
এই যৌবন ফেলনা নয়, এখন শ্রেষ্ঠ সময়।


“এটি মূল কবিতা ‘নিরুদ্দেশ জয়যাত্রা’ এর ৩য় অংশ।”