আজ এই বৃষ্টি স্নাত রাতে
কে তুমি গোপন পায়ে? 
দাঁড়িয়ে আছো আমার দরজার ওপাড়ে।
আসো ভিতরে আসো, আমার অজ্ঞাত অতিথি।
প্রকম্পিত করো আমায় সৃষ্টির উল্লাসে।


তোমার অক্ষরহীন ভীরু নিঃশ্বাস
আজ আমার খুব পরিচিত ঠেকে।
মনে হয় কোথায় যেনো
আজ থেকে শতবছর আগে
এমনি কোন বৃষ্টিবহুল রাতে।
চোখে চোখে তোমাতে আমাতে 
অনেক মেঘ জমেছিলো।


ভয় পেয়োনা, ভিতরে আসো, আধ ভেজা নারী! 
অবিশ্বাসের অবশিষ্ট ব্রেসিয়ার খুলে 
বৃষ্টি পোহানোর এই দিনে মুক্ত করো আমায়।
অথবা আমার চোখের করিডোরে বসে,
তোমার বিন্যস্ত নারী সত্ত্বার উষ্ণ আলিঙ্গনে,
চঞ্চল করে তুলো এক বাউন্ডুলে কবিকে।


এখনি যেয়ো না তুমি;
আরেকটু থেকে যাও, আমার নিদ্রিত নারী।
তোমার এলোচুল,পর্বতসমান উন্মুক্ত বুক, কৃষ্ণ গহবরের মতো চোখ।
আমার ধূলোজমা পান্ডুলিপিকে রাজপথে নামিয়েছে।


ভয় পেয়োনা,কাছে আসো তোমার গুপ্ত রহস্য নিয়ে।
বিশ্বাস করো,এমন নির্জন রাতে তোমায় ছোঁয়া যায়না।
শুধু চোখ মেলে লিখে নেয়া যায়,
এক আগন্তুক নারীর জন্য, 
একটি অস্হির কবিতা;
অথবা কয়েকটি সর্বনাশী পঙতিমালা