এই তো সেইদিন -
আকাশ কে বলেছিলাম ভালোবাসি
ও হাসতে হাসতে বলেছিলো
ধুত্তেরি! কিসের ভালোবাসা?


ভালোবাসা হয়
একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মধ্যে,
আমি মন খারাপ করে বলেছিলাম
আমরা কি তাই নই?
ও বলল না,
না এবং না।


তুমি চাঁদের আলোয় চকচকে নিখুঁত প্রাণশক্তিময় দেবী
পৃথিবীর নও, ভিন্ন কোনো গ্রহের
নিখাদ সুন্দর মনের অধিকারী
বাস্তবতায় তুমি অনন্য আগুন !
যেই আগুনে পুড়ে যাই দিবসযামী।


দেবী তখন জানতে চাইলো
তবে তুমি কে?
উত্তরে ও বলল-
আমি ভাঙা কুলার মতো কখনো
বাসি ছাই ফেলি,কখনো বাসরের দুমড়ানো মোচড়ানো অনুভবের তীব্রতা নিয়ে
বাসি ফুলের গন্ধ নেই।


নাম পরিচয়হীন
ঠিকানা বিহীন পথিকও বলতে পারো।পাহাড় দেখোনি?
অসংখ্য গাছের সারি ;
সব গাছের যেমন নাম জানা নেই
ঠিক তেমনি আমিও ঐসব গাছেদের মতো,
পরিচয় থেকেও নেই।


আমি আকাশও নই
আকাশের  বিশালতা আছে;
আমার নেই।
বরং আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়াই
নিজের পায়ে নয়।
নিজের পায়ে ভর করতে পারলে,
পারলে কি করতে?
পারলে তোমাকে মাথায় তুলে নাচতাম;
হাসতাম,গাইতাম
আনন্দে কাটতো বাকিটা সময়।


এখন মাথার উপর ছাদ নেই
পতিত ভূমি নেই
আমার গানের পাখিরা গণবিলুপ্তির পথে
সুর নেই,কলকাকলি নেই।
দেবী এবার বলল-
তবে তুমি ভালোবাসতে শিখলে কেমন করে?
দেবী শিখিয়েছে!
ঐ যে বটবৃক্ষ দেখছো,সে আমি। আর সেই  গাছ তোমাকে দেখে তৃষ্ণা জুড়ায়।


তবে আমার তৃষ্ণার মারণসম দোটানা,
যেখানে  সংশয় রয়েছে ;
বৃষ্টি হলেই কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গের দৃষ্টিতে নিরালায় ডেকে যাই ;
অহেতুক ভাবনায়।


আমাকে আর প্রশ্ন করো না!
জানতে চেয়ো না,
আমি কেমন আছি?