চারদিকে যখন মৃত্যুর খবর
আমি তখন গুটিয়েছিলাম হাত পা!
রুপোর রাত্রিতে ছবি আঁকছিলাম
কোন এক মাংশল শয্যার।


সোনার চামচ মুখে দিয়েই যার জন্ম,
তার উঠোনে আগাছার জন্ম হতেই পারেনা!
হোক রাজপথে কানাঘুষা আর বিচিত্র আলাপন;
তাতে ভেসে যাক সব কটা অক্ষর
আমি তাতে কান দেব কেন?


আমার তো আছেই
বৈভব ফাগুন ঝড়া ঝাড়বাতির আলোড়ন!
আমি কেন কারো সন্তাপের কাণ্ডারি হব?
যদি অকস্মাৎ আগুনে পুড়ে  যায় শহর কিংবা গ্রাম;
যদি চিৎকার করে কাঁদে রাস্তায় নগ্নপায়ে বিবর্ণ কিশোর
তাতে আমার কি যায় আসে;
আমার আছে যৌবনের ছাদ!
আছে সোনার মোহরে গড়া গৃহের কপাট।


সবুজ পাতা হোক না হলুদ কিংবা খয়েরী
আমার তো আছে সতেজ বাহুমূলে ঠোঁটচাপা হাসি
আছে রমণীর কাঁচা ঘ্রাণ, মথিত স্পর্শে এলানো শরীর।