একুশ এলেই এ-ঋতু হয় রক্তিম!
বাসন্তী আবেশে কোকিল গায় বিষাদগীতি !
আজ রক্তক্ষরণের শোকে বিবহল রক্তিম পলাশ
বুক জুড়ে তোমারই সন্তানের টগবগে রক্ত-মাখা অক্ষর দিয়ে
মিনারের প্রতিটা সোপানে সোপানে লেখা আছে অ, আ, ই , ঈ!
জানি আমি জানি, আমি সব জানি মা!
তোমার চাতালে মুক্ত বাতাস ছড়ানোর উর্বর বিশ্বাস ছড়াতে
দেহ-মাটি- সুধা সবই দিয়েছে উজার করে তোমার সন্তানেরা
তাই আজ নির্ভয়ে  নূপুরের ঝঙ্কার তুলে
মা! মা!মা! এমন মধুর নাম ডাকার অধিকার খুঁজে পাই মাগো!


ওরা রেখে গেছে রাস্তায়, ক্যানভাসে,পথে-প্রান্তরে
কারাগারের দেয়াল জুড়ে ছোট্ট শব্দ মায়ের মিষ্টি রঙতুলি!
সালাম, রফিক,জব্বার নির্ঘুম চোখে কান পেতে আছে মাগো
যেনো ফাগুন এলে আর না হয় রক্তের খেলা!
আর যেনো না হয় গড়া, কোন একুশের তারিখে নতুন মৃত্যুফাঁদ!
আমরা কি পেরেছি, প্রথম চিৎকারে ডাকা মা শব্দকে বাঁচিয়ে রাখতে?
আমরা কি পেরেছি,  অকালে মাটির বুকে পাতাঝরা থামাতে?
শ্রমিকের একখণ্ড রুটি কিংবা তাদের নগ্ন শরীর ঢাকতে?
এখনও পদে পদে মা-মাটির বুকে বয়ে যায় আশ্চর্য-রকম রক্তের ঢল!


একুশ তাই এখনও কাঁদে ; সারা বছর জুড়ে কাঁদে!
একুশ নয় শুধু সংখ্যার গণনা, নয় কোন তারিখের হিসাব,
একুশ মানেই আপনের শূন্যতা,একুশ মানেই নিজেকে চেনার প্রতিশ্রুতি!
একুশ মানে হৃদপিণ্ডে মা!!