গভীর ঘুমে অচেতন দেখে, হাসছে জানি পরিজন-রা
ফরমালিনের যুগে এই ভালো আমি জেগে নেই
মৃত আমি; তাই গভীর আনন্দে গায়ে মাখিনি উষ্ণ তালের গন্ধ!
কিংবা সঙ সেজে বেআব্রু করতে দেইনি মানবতাকে।
চারদিকে এত-যে লোক-দেখানো বোশেখের নগ্ন নৃত্য
এতো-যে বিজ্ঞাপনী রমণীর সুডৌল বুকের মাপ-ঝোক
আর অহেতুক রঞ্জিত শুভেচ্ছাবানী;
ক্রমাগত তলিয়ে যাওয়া এমন মায়ারাজ্যে আমি তাই
ক্যলান্ডারের বৈশাখী ঝড় বুকে তুলে নিতে চাইনি।


যদিও প্রকৃতি মহাকালের ধারায় তার দীর্ঘপথ জুড়ে
কখনও চুমু খায় মেঘের লিরিখ-নীলে কিংবা বৃষ্টির পিঠে চড়ে
মনের মাধুরী মিশিয়ে মাটির সাথে করে আলিঙ্গন।
ঝড়ো হাওয়ায় উড়ায় আঁচল,পাতায় পাতায় সবুজ বর্ণমালা ছড়ায়
আসে গ্রীষ্ম, আসে বৈশাখ তার নিজস্ব নিয়মে
ভাসায় কারুকার্যশোভিত সময়ের রহস্যধ্বনি!
তবু এই ভালো, এবারের বৈশাখে আমি বাতাসে উড়ে যেতে দেখিনি
মানবিক কসাইয়ের ধনুতে বিদ্ধ  হওয়া;
ছিন্ন-ভিন্ন আলোর পাখির পালক।

কারণ এই বোশেখে আমি মৃত্যুর কোলে ঘুমন্ত কেউ।