আমগাছ তলে এসে দাঁড়াল নীরবে,
রাত্রির নিঝুম ক্ষণে তার মৃত্যু হবে ।
ক্ষণকাল ভেবে নিল কে আপনজন
আছে তার সংসারে করবে স্মরণ ।
তার তরে ফেলবে কে বিন্দু অশ্রুজল,
আনমনা হবে ভেবে স্মৃতি শতদল ।
এমন তো কেউ নেই ভাবে তারে,
সে একা জঞ্জাট, নিঃস্ব ভব সংসারে ।


কত কথা ভেবে তার চোখে আসে জল,
অভাগীর জীবনটা বিধ্বস্ত, নিষ্ফল ।
ওড়না পেঁচিয়ে ডালে ফেলে দীর্ঘশ্বাস,
অব্যবহিত পরেই নিল গলে ফাঁস ।
হাওয়ায় বিরাজিছে মৃত্যু আহবান,
যমদূত পুরে নিল অবলার প্রাণ ।
এলোমেলো হাওয়ায় লাশখানা দোলে,
এমনি শূন্যের ’পর থাকে গাছে ঝুলে ।
সূর্যের কিরণ যেন শবের সারথি,
প্রকৃতির নিরবতা ছড়িয়েছে ভীতি ।
প্রত্যুষ গড়িয়ে দ্বিপ্রহর হয়ে যায়,
কৌতূহলী মানুষেরা জটলা পাকায় ।
পরস্পরে চোখ চাওয়া চাওয়ি করে,
কেউ পরম মায়ায়, কেউ ঘৃণা ভরে ।
সবার চোখেই যেন জিজ্ঞাসা হাজার,
কে এই অভাগা নারী, কী সমাচার!


২৬ অগ্রহায়ণ ১৪২১ বঙ্গাব্দ
ময়মনসিংহ।