আজকাল মনের স্বাধীনতাটা
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে,
মাঝে মাঝে অতি বেশী বেপরোয়া।
দিনে বা বিকেলে যখন তখন
যেখানে কেটেছে মনের ঈশারা।
আমতলা, তেতুলতলা অথবা
তলার চত্বর, যেখানে রয়েছে
ক্ষণিক হারিয়ে যাবার মত কিছুটা নীরবতা
অথবা কবিতায় বাঁধা প্রেমের মত
কৃত্রিম ধাঁচের বর্ণিল ঝর্নার ধারা।
না! না! আজকাল আর তাতেও ভরে না মন,
আরও একধাপ এগিয়ে মনহারা।
জড়তার লতাপাতা সব,
মাকড়সার বুনো জ্বাল
আার সংকোচের সকল সত্ত্বা
নিসংকোচে ছিন্নভিন্ন করে।
শামুকের অন্তরালে জমানো লাজ
আনছান করে বেহুলার মোড়ে,
কবিতার আার কী এমন ছন্দপতন, যদি
গোধূলী কখনও সন্ধ্যার দ্বারে গিয়ে
রাত্রির হাত ধরে।
না ,আর কোন প্রশ্ন নয়, প্রশ্নবোধক নয়,
বাঁচা চাই, বাঁচাতে চাই,
বাঁচাতেও বাঁচতে চাই,
লোকার্ত পরমেশ্বরে দিব্যি, বাঁচাটাই জরুরী।
আর সব মেকী, মৃগতৃষ্ণায় হাওতাস
মলাট তর্কাতর্কি,
অযথাই কেবল মিছে দর কষাকষি,
বেহুদা ভূলে ভূলে, ভূল ধরাধরি।
এখানে-সেখানে নির্জন ক্যানভাসে,
তৃষাসাগরে জেগে উঠা মনদ্বীপে,
ঝাপসা দ্বীপপুঞ্জে,
মিথ্যার বুদবুদ হতে শুকে শুকে জমে
কিছু কিছু কুচি।
গোচরে বা অগোচরে
লেভাস এঁকে দেয় বানোয়াট কিছু রং,
নিজের মত করে,একে ওকে ঘিরে।
নেহাত মরিচিকা পিছু
অতিকায় চমকানো অপ্সরী শোরুমে
আচমকা বিভৎস নশ্বর সেলফি।
=================