আজকাল ওরা, মনটাকে নিয়ে
খেলছে স্বাধীন খেলা,
ইচ্ছেডানা মেলে, বন্ধনহীন
ডুব দেয়ার হলিখেলা।
না মানা- না শোনার,
চিন্তায় বা চেতনায়  উন্মুক্ততার
আপাদমস্তক অবুঝ অশ্লীল মেলা।
জগদীশ! এ তো ভয়ানক কালবেলা।


মনের স্বাধীনতাটাকে ইচ্ছার দখলে
নিয়ে গেছে আজ তারা,
আশ্রয়হীনতার অশালীন প্রশ্রয়ে
পুরোটাই দিশেহারা,
জগদীশ! কিছু ভেবে দেখেছিস?
কখনও কখনও অবাক বিস্ময়ে দেখা,
এরা বেমালুম মাথাচারা।


স্বাধীন স্বাধীন মহরার ক্ষণে
একটু একটু,নেশার ঘোরে
নিজেকে আড়াল করে ধীরে,
নষ্টের মহা-উল্লাসে মাতে
এ যে ভীষণ উষ্ণতার উন্মাদনা,
জগদীশ!  এতো দেখি,
অসভ্য বিলাসে ভ্রষ্ট বীজাণুর
কতকটা নিলজ্জ বাসনা।


মনের স্বাধীনতাকে ভাবছে ওরা
স্বেচ্ছায় নিলাজ চলা,
কাম কামনায়,অজ্ঞানে  গোপনে
নির্লিপ্ত মেলামেশা।
খেয়ালের বশে বিপথে, বিপাকে
সুনীতির বুকে, কুমনে কুভাবে
কুতাড়নায় স্বৈরী নগ্ন তামাশা।
ভাই জগদীশ! একটু বুঝিয়ে দিস,
স্বাধীনতা মানে জীবনের আলপত ধরে
মনে মনে, প্রতিক্ষণে
সকলের সাথে, সবকিছুতে
মুক্তির স্বাদে,
যুক্ত থাকা পরম সমাদরে।
==============