বাংলার বুকে শ্যামল মাঠে সবুজ ক্ষেতে ভরা
বৃক্ষরাজি সারি সারি অপরূপ বসুন্ধরা।
নদীর ধারে আকাশ পানে, সূর্য্য হাসে ভোরের রাগে,
পাখ পাখালীর মধুর ডাকে
রাতের শেষে দিনটি জাগে।
নানান রঙের নানান ফুলে, মিষ্টি সুবাস ছড়ায় বনে,
মৌমাছির দল ঘুরে ঘুরে
ছুটে মধু আহরনে।
নিজের তরে গৃহস্থীরা ব্যস্ত রহে ঘরে ঘরে
কৃষক ভাইয়া নিত্য ছুটে
সুদুর পথে কাজের ঘোরে।
বাংলার ঘরে আলোয় ভরে, এমনি কাটে দিন
সফল চোখের স্বপ্নগুলো
সুখের রঙে রঙিন।
পুকুর ভরা মাছ আছে আর, গোলায় ভরা ধান
পরিচ্ছন্ন পূর্ণ জীবন শান্তি অফুরান।
ধীরে ধীরে মেঘে সূর্য্য ঢাকিল, আকাশ অন্ধকার
উত্তেজনার বাতাস ছুটিল বাংলায় হাহাকার।
সুখের জোয়ারে পড়িল ভাটা, ছন্দ হারালো নদী
জীবন তরী লাগাম হারাল দিশেহারা হল গতি।
পাক দোসরেরা ফন্দি করিল, করিতে বেজায় যন্ত্রনা
নানান ফাঁদে বাড়িতে লাগিল, লাঞ্চনা আর বঞ্চনা।
পাকশাসকেরা হরন করিল, জীবনের অধিকার
বর্বরতায় শোষন করিল, চলিল কঠিন অত্যাচার।
সহিতে সহিতে সহিতে না পারে
অপমানে ক্ষোভে গা জ্বলে পুরে,
বিরোধে বিরোধে বিরোধ জড়াল,ক্ষোভের তরে ক্ষোভ
নিষ্ঠুরতায় অতিষ্ঠ বাঙ্গালীর, বুক-ফাটা বিক্ষোভ।
শহরে-নগরে গ্রামে-গ্রামান্তওে, বাঙ্গালীর জাগরন
বঙ্গ মাতার মান রাখিতে, করিল সংগ্রামে পণ।
যুদ্ধের ডাকে যুদ্ধে নামিল, না করিতে সর্মপন
কত শত নর, শিশু আর নারীর, অকালে হইল মরণ।
সম্পদ গেল সম্ভ্রম গেল, হারাল আপন জন
ঘরে ফিরিয়া শূণ্য হাহাকার, অশ্রুসিক্ত দু’নয়ন।
সোনার বাংলায় সূর্য্য উদয়ে এখনও সকাল হয়
কষ্ট গ্লানি গাঁথা, স্বপ্ন সাধে ভরা, স্বাধীনতার হল জয়।