সময়টা রাত তিনটে বেজে ছয়,
লাল কালো-এ মেশা ওই আকাশকে-
আজ বড়ই অচেনা মনে হয়।
পূবের জানলা দিয়ে কৃষ্ণ পক্ষের-
ওই একফালি চাঁদের আলো-
দেখছি তাতে রাত তার ক্লান্ত হাতে-
ঘর সাজালো!
হয়তো, ঝিঝি-রা গেছে ঘুমিয়ে;
জেগে থাকলেও তাদের এখন
পাওয়া যায়না টের,
বয়স তো হলো ঢের-
চেনা-অচেনার মাঝে
আমাদের এই শহরের!
তবে শেষ রাতে আজও -
কারো প্রবেশ কে নিষেধ জানাতে
থেকে থেকে ডেকে ওঠে কুকুর গুলো!
মনে হয় তারা যেন দিচ্ছে পাহাড়া-
কোনো অমূল্য ধন, যক্ষের!
এমন-ই সময়,পর্দা গুলো
কেঁপে দুলে ঘোষণা করে-
দখিনা বাতাসের হঠাত আগমন!
সে জানিয়ে গেলো,
তুমি আছো জেগে এখন-ও!
কাটাচ্ছো আমার-ই মতো-
এই "একাকী বিনিদ্র রাত্রি"!
হয়তো তুমিও কোনো দূর ঠিকানার-
আঁধার পথের যাত্রী!
সেই পথেই তোমার-
"নয়ন চুমে" দিয়ে যায় "স্বপন"-
সব পাওয়ার কোনো ব্যর্থ উপদেশ!
প্রথম কূজনে শেষ প্রহরে-
যখন কাটছে ধীরে রাতের রেশ,
"উত্তর ফাল্গুনী" ফেরার পথে-
তখন নিয়ে যাবে তার সাথে
'সুষুম্না' কিরণ ভরে
তোমার-আমার স্মৃতি ধরে-
শান্ত এই শহর মাঝে-
তোমার-আমার গড়া দেশ!