যীশু


©রূপম ভৌমিক


আমার যীশু রোজ স্কুল যেতো।
সকালে স্নান সেরে জামা পরে বই নিয়ে।
মা বাড়ির কাজে বাবা মাঠে যেতো।
যীশু স্কুলে যেতো।
অক্ষর শিখছিলো বাক্য বানাতে শিখেছিল।
ট্যারা বাঁকা হলেও বেশ লিখছিলো।
তারপর আস্তে আস্তে ওর সব বন্ধুরা ছেড়ে চলে যেতে লাগলো।
কেউ সাইকেলের দোকান, কেউ ইটভাটা,কেউ গ্যারেজ।
তাদের স্কুলমুখী হওয়ার জন্য কেউ খোঁজ নিলো না।
ব্ল্যাকবোর্ডে বেশি চকের কাজ হলো না।
নিজের সুবিধা মত যে যার জায়গায় ট্রান্সফার নিয়ে নিলো শিক্ষকরা।
ঘাসগুলো  বেশ বড় হয়ে উঠলো স্কুল মাঠে।
তুই কি করতে আর স্কুল যাবি এবার চল মাঠে!
যীশু কে বললো সবাই।
কিন্তু ও ভেবে ছিলো ও একদিন শিক্ষক হবে।
কি হবে ওর স্বপ্ন!
মাঠেই কি মৃত্যু হবে!
মা যে বাড়িতে বাসন মাজে সে বাড়ির ছেলে ওর বয়সী।
ও ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে।
স্কুলের স্যারদের ছেলে মেয়েরাও বড় ইংরেজি স্কুলে পড়ে।
কেউ খোঁজ নেয়নি।
কেউ কি যীশুদের খোঁজ নেয়।
ওরা তো রোজ ক্রুশবিদ্ধ হয়।
মাঝ পথেই স্বপ্নের মার্ডার হয়।
নিয়োগ হচ্ছে এবার।
সবাই কি শিক্ষক..!!
সবার কি সেই হৃদয় আছে সবাই কি ডুবিয়ে দিতে পারবে শিক্ষায়..!
না কি শুধুই সরকারি একটা সেফগার্ড খুঁজছে।
যীশুদের কি হবে..?
রাস্তায় কি ওরা ফুল বিক্রি করবে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে;
নাকি বাজে হাতে পরে চরস গাঁজা সাপ্লাইয়ের চেন হবে..?
শতাব্দীর পর শতাব্দী এরকম করেই যীশু জন্ম নেয় ক্রুশে যায়।
কেক খেয়েই ভুলি।
স্বপ্নের মৃত ঝুলি কাঁধে নিয়ে আজকের যীশু কুলি।


©রূপম ভৌমিক🌿