হে যুবক,কুয়াশার বিপরিতে উষ্ণনতা নেমে আসুক প্রিয়ার ঠোটের নকশী কাঁথা ছুঁয়ে,
আঁধার করে আসুক দস্যি মেঘেদের আড়ালে,
পৌষ,মাঘ নেমে আসুক তোমার শাড়ীর আঁচল ধরে,
তোমার দু বাহুর উষ্ণতায় হারাব আমি
শিতের স্বপ্নলোকে তোমার বুকের অমৃত সুধায়,
ভালোবাসার ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে বানাব ঘর মেঘের দু'বিঘা জমিতে,
গোধূলী হবে জানালা আর দক্ষিণে কাশবন ছোঁয়া দীঘল কালো চুল,চুলের বারান্দায় থাকবে তোমার প্রিয় সবকটি ফুল,
উত্তরে তোমার হৃদয় ছোঁয়া পুঞ্জিভূত মেঘের কাজল,
পূবালি হাওয়া বয়ে আনবে তোমার  উন্মোচিত চিকন সুখের মত কপলে মুগ্ধতার বিষ্ময় টিপ,
তোমার আমার ভালবাসা ছুঁয়ে রবে সুনীল সুশান্ত সমস্ত আকাশ!


মেয়ে শুধু এই হাটটি ধর,আলিঙ্গনে বন্দ হাতে দিব পাড়ি প্রনয়ের মেঘের বাড়ি!
ওই ঠোটের রঙ্ধুনু আবিরে সাজাবো ঘর বুকের অন্তমূলে ফোটা রজনীর সুভাসে,
মেয়ে,তোমার রাংগা ঠোটের জলজ চুমুর দিব্যি জোছনা পুকুর টলোমল,
সে পুকুরে নব্য প্রেমে কিলবিল করা পোনামাছের রূপলী পিঠে,
কুঞ্জবনে জোনাকির ধুম পড়েছে প্রনয়ের ধ্রুপদী চুম্বনে,
রূপলী রাত মধুর হাসে নক্ষত্র শিশির ঘাসে,
এ বুকে তুমুল ঝর উঠে ভরা ঠোটের প্রজ্জ্বলনে,
মেয়ে আমি চাই ঝড় উঠুক,তুমি কেবলি ঝড় তুলো হাওয়ার বেগে,
এসো মেয়ে হাওয়ায় উড়া মুগ্ধ চুলে দু'জন আকাশ হয়ে যাই,আকাশ হয়ে রই।।