মিত্রের অধরে সমাচার শুনিয়া,
কর্ম সাড়িয়া, ব্যস্ত সাজিয়া,
সেদিন প্রদোষে, মনের হরষে,
পুস্তকের আড়ঙে, বিহারের নিমিত্তে,
ত্যাগীয়া বাটী, চলিলাম আমি,
দ্রুতপদে হাঁটি, আড়ঙের প্রান্তে।


হাজার জনের ভীড়ে,
ছাতির চর্ম চিড়ে,
আসিয়া বিঁধিল মোরে,
প্রবেশিল মহা তোড়ে,
ক্ষুদ্র রব, নগণ্য বুলি,
অগ্নিমধুকর রূপী গুলি।


ভূপাতিত দেহ সাড়া,
বহিতেছে রুধির ধারা,
প্রিয় হইল বসুন্ধরা,
স্থির আঁখি তারা,
সম্মুখে যেন মোর,
জমিল জীমূত ঘোর।


নির্জীব অক্ষিপত্রদল,
অসাড় চরণ যুগল,
শত জনতার গোল,
মিটাইতে কৌতুহল,
কোথা ঘড়ি, টাকার থলি,
মুমূর্ষুর ক্রন্দন, “ইহাই কী বাঙালী?”


রুধিরহীন দেহখানি,
অ্যাম্বুলেন্সে টানা টানি,
নাহি দোষ করিয়াছি কভু,
অধরে মোর শুধু প্রভু,
পরিত্রাণের আশায় ঘোর প্রদোষে,
হৃদয় রহিছে মহানির্বাণের প্রত্যাশে।