নিদারুণ এ খেলাচ্ছলে – খেলতে গিয়ে দাগের বাইরে।
বাঘবন্দী খেলার মতো ঘরের কোণে আটকে গেছি।
শিকার আমি, একলা একা ঘরের কোণে।


দুঃখমগ্ন অসহায় এক কয়েদীর মতো
নির্জন এক নদীর মতো
আমার ডাক কেউ শোনেনা
আটকে আছি জনশূন্য দ্বীপের মতো।


নদীর বুকের শ্যাওলার মতো
দূর পথিকের পথের মত
একলা আমি, একলা একা
কেউ শোনে না আমার কথা।


ছায়ার সাথে কথা বলা
একলা চলা নিজের পদচিহ্ন
কে ছুয়েছে দুঃখ ছাড়া!
দুঃখ ছুয়ে ঘরবাড়ি; কষ্ট দিয়ে ছাঊনি
বাঘবন্দী ঘরে কোণে একলা আমি আটকে আছি।


সহস্র বর্ষ  ডাকতে ডাকতে একশেষ;
কেউ আমার ডাক শোনে না।
তাকিয়ে আছি শূন্যতাই
শূন্য ঘরে, নির্বাসনে একলা আমি
আর কতো কাল, আর কতো কাল
কেউ আমার ডাক শোনে না, কেউ তাকায় না ফিরে।


নিদারুণ এ খেলাচ্ছলে কে ছুয়েছে কাকে
কে ছুয়েছে। আমাকে কিছু ছোঁয় না
শুধু দুঃখ গেছে ছুঁয়ে;
দুঃখ ছুঁয়ে ঘরবাড়ি।


গভীর কালো নিশাদ, আজ ছুয়েছে বিষাদ
আমার শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস।
ঘরের কোণে একলা আমি
একলা আমি বিচ্ছিন্ন হওয়া পৃথক পৃথীবি,
একলা আমি ঘরের কোণে, একলা আমি;
ঘরের কোণে – গভীর কালো নিশাদ আজ ছুয়েছে বিষাদ
আমার শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস।


আর জেড রাসেল
রচনা তারিখঃ ২০১৪-০৩-০৬