নিস্তব্ধ রাত।
রুমে আমি একা বসে পড়ছিলাম।
হঠাৎ আমার বন্ধু লতিফ বাহিরে
কলিং বেল চাপলো। তখন ঠিক রাত
সোয়া ন’টা হবে প্রায়। আমার বড্ড ভয় লাগছিলো।
পরপর তিনবার বেল বাজাতেই
আমি তড়িঘড়ি করে উঠে দরজাটা খুলে দিলাম।
দেখলাম আমার সেই পুরোনো বন্ধু লতিফ।
দীর্ঘ ৫টি বৎসর তার সাথে কোন কথা
বা দেখা হয়নি। তাকে দেখেতো আমি অবাক।
তার পর তাকে নিয়ে একসাথে
রাতের খাবার শেষ করে আমার রুমে এসে
দু’জনে শুয়ে পড়লাম এবং দু’জনার
পূর্বের স্মৃতির কথা তুলে ধরতেই
আমাদের গার্ল ফ্রেন্ড সুমির কথা বলে উঠলো।
বলল, তুই খুব মিস করিস না।
আমি দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললাম।
বললাম ওর কথা মনে উঠলে আমার গা শিউরে ওঠে,
বড্ড ভালোবাসতাম ওকে।
ওর বিরুদ্ধে কোন কথা শুনলে আমার গায়ে
কাঁটার মত বিধঁতো, আগুন জ্বলতো।
আমরা সেই সময় লাজুক প্রকৃতির ছিলাম।
কথার এক পর্যায়ে সে বলে উঠলো,
সুমির না-কি বিয়ে ঠিক হয়েছে,
তোর কেমন লাগছে?
ইস! লাগেনা বুঝি... ওর বিয়ের পর
আমার পাগোল হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে বৈকি?


******************************
এই কবিতার ব্যবহৃত নাম, চরিত্র, স্থান অথবা ঘটনাবলির সাথে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নাই।
*******************************
আবু সাহেদ সরকার
সাধারণ সম্পাদক
পল্লীকথা সাহিত্য পরিষদ
সাঘাটা, গাইবান্ধা।