অবারিত নিঝুম বৃষ্টিতে;
স্মৃতির হৃদয়স্পর্শী জীবনবোধ!
সাহিত্যরুচি, মুক্তবুদ্ধি ভাবুকের চোখে;
কিংবা কোনো আহত কবির চোখে!
দেবার মত নেই কোনো পরিচয় !
কাহিনি, ঘটনা, চরিত্র সৃষ্টি এক নীরব সাধনা!
জীবনে যখন গভীর ট্রাজেডি,
অদ্ভুত মনের ভেতর খেলা করে;
ঠিক তখনই খুঁজে পাই,
এক গভীর জীবনসত্য!


আজ আমি স্মৃতিকাতর!
দৃশ্যপট কিংবা স্থিরচিত্র আঁকতে আঁকতে,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিমুগ্ধ।
গম্ভীরভাবে তাই চেয়ে থাকি!
দায়িত্ববোধ, সংযত আবেগ, যুক্তিনিষ্ঠ অভিপ্রায়,
ভাবাদর্শ আর অমোঘ পাগলামী!
মর্মবেদনারা তাই সৌকর্যে উচ্চারিত হয়,
আধিপত্য বিস্তার আমার কোনো খেলা নয়;
কারণ আমি অন্তত এটা জানি,
জাতীয় খেলার স্বরূপ; জাতীয় খেলা!


নিচুতলার মানুষ আমি;
সংঘাত, জঠরযন্ত্রণা বিপর্যয়, ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা-
দেখতে দেখতে আমি মানুষ!
তো কী হয়েছে ?
আমিতো থেমে নেই,
থেমে নেই আমার আজন্ম সাথী কলমটাও!


আজ আমি সৃষ্টি মুখর,
শুনেছি একটু নির্ভরতা পেলে,
মানুষ সবকিছু বলে ফেলে,সবকিছু!
কিন্তু আমার বেলায় তা মানায় না,
কারণ আমি কবি;অবিদিত কবি!
অস্তিত্ব রক্ষার দরকার নেই আমার;
নেই কাহিনিতে গতি সঞ্চার করবার,
অবারিত নিঝুম বৃষ্টিতে;
স্মৃতির হৃদয়স্পর্শী জীবনবোধ!


প্রবৃত্তির তাড়না, সর্বনাশা আগুন;
উচ্ছিষ্ট খাবারও যখন নর্দমায়,
যখন সন্ন্যাসীর নির্জন আশ্রম;
যখন কবিতা বাজেয়াপ্ত হয়,
তখন যোগ্যতা কিংবা-
শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়ে কী লাভ?
অবারিত নিঝুম বৃষ্টিতে-
স্মৃতির হৃদয়স্পর্শী এক জীবনবোধ।
দেবার মত নেই কোনো পরিচয়;
অবিদিত কবির আত্মপরিচয়!