আমাদের গর্ভগৃহে চিরকাল থাকেনা কিছু। একবার তাকে বের করে দিতে হয়। একে হয়ত মুক্তি বলে। চিড়িয়াখানা থেকে খানাকে তাই বাদ দিয়ে দিলাম। এই জাদুমন্ত্রে মুক্ত পালকের কথা বলছি। এ যেন লাল বেলুনে উড়ছে ভালবাসা। কিছু গানে কিছু কবিতায় ফাল্গুন এসেই গেল। সন্ধ্যাভাষা পাকদণ্ডি বেয়ে সমুদ্রগামী হলে লবণের স্বাদ ভুলে আজ একটু মিষ্টভাষী হয়ে গেলাম।


স্পষ্টত এই ক্যানভাসে জলরং বসছে। আমি তার নীলটুকু তুলে যতটা নীলে তাকে সাজানো যায় ভাবছি। বেদনার নীল বলে কোনও কথা নেই। এই অবয়ব নীলেই মানায়। একপক্ষ সমুদ্র ও আকাশকে দাবড়িয়ে মিথ রচনা করে। একটু খণ্ড সুখে তাই প্রিয়দর্শিনী সহেলীও কাছে এসে যায়।


প্যাস্টেলে উঠে আসছে সে। হে ভ্যালেন্টাইন এই ছবিটি আজ আমি তোমার কাছে পাঠাবো। সময়ের গর্ভগৃহে সে আমার ঠোট ছুঁয়ে ছিল। অবিরাম বিরামহীন ভালবাসায় সাজিয়েছি তাকে। সহজলভ্য সে কোন প্লেটোনিক তুলসীপাতা নয়। সকলের ঘরে ঘরে যে এক পিস আর্ট থাকে তারও উপর থেকে নামিয়ে এনেছি কিছু। বিপ্রতীপ ও বৈরিতা রেখে যেটুকু চোখের যেটুকু মুগ্ধতার তার কাছাকাছি। এখন আমার পাশেই সন্নিহিত হয়েছে এই চতুষ্কোণ।


গর্ভগৃহ থেকে তাকে নামিয়ে আনছি আঁজলায়। প্রতি চুমুকে মুগ্ধতার কোলাজে  জড়ো হয়েছে অনবদ্য জলরং। ভেসে উঠছে মধুরিমায়। আর পর্যাপ্ত নীলে খোলা হয়ে গেছে আকাশ।