হৃষ্ট পুষ্ট ছিলেন আগে আমার শ্যামল মাতা,
লাল গড়নের ঐ শাড়ীতে বেশ মানাতো তাঁকে।
যারা ‍ছিলেন সহায়-স্বজন কিংবা মাথার ছাতা,
ঠিক তাদেরই নির্যাতনে বেগ পেতে হয় মাকে।


আমার দাদী কিংবা চাচার বৈরী আচরণে,
অত্যাচারে দেহটি তাঁর রঞ্জীত হয় লালে।
পর্তুগীজ আর ফরাসীদের যাওয়ার পরক্ষণে
এভাবেই চলতে থাকে ইংরেজীদের উপনিবেশ কালে।


কিন্তু চাচা - দাদীর সাথেই বৈরী হলেন বাবা
এমন ব্যাপার মা-জননী কেমন করে ভাবে!
সাতচল্লিশে পৃথক হলো এ সংসারের কাবা
মা ভেবেছেন এবার বুঝি গুছিয়ে নেওয়া যাবে।


কিন্তু আবার একাত্তরে তাঁর চে কয়েকগুণে
বক্ষটা তাঁর ঝাঁঝরা হলো তপ্ত মেশিনগানে।
ওরাতো খুব পারদর্শী ধর্ষন এবং খুনে
এ কোন জাতের ভাই সহদোর আল্লা- মাবুদ জানে।


নেই চুলোতে আগুন এখন নেই হাঁড়িতে চাল
আর কতকাল চেয়ে চেয়ে হাত পেতে মা খাবে?
একাত্তর আর সাতচল্লিশ ক্রয়ের দু,টি কাল
দুই শাড়িতে আমার মায়ের আর কতদিন যাবে?


ফ্রেম আছে তাঁর হাড়ের শুধু মাংসতো নেই গায়
নেই পরনে কাপড় মায়ের শরম দেখে সবে
এমন হলে সম্ভ্রম তাঁর থাকে কি আর হায়!
নগ্ন দেহে বেঁচে থাকা যায় নাকি এই ভবে?


পেট ভরে ভাত চাইনে আমি ,ঘাস চিবিয়ে নাও
ঘাস চিবিয়ে মায়ের মুখে দু,ফোটা রস দাও


লালগড়নের সেই শাড়িটা নেই প্রয়োজন তাও
ছেড়া কাঁথায় জননীকে দাও না ঢেঁকে দাও।