।।দেবদূতের ডানা।।


দুপুরের রোদ বাসি হয়ে পশ্চিমে গেল
আমি হাত বাড়িয়েই আছি;
একটাই সিঁড়ি,সামান্য ক’টাইতো ধাপ
এগুলো টপকাতে কেন এতো দ্বিধা
এতো দূরত্বের মাপ।
ধাপের কিনারায় পড়ে আছে দেবদূতের ডানা,
তোমার পিঠে রক্তের ছোপ;
আমার হাত ধরবার জন্য তোমার হাতটা কই!
জুলাই বৃষ্টিরা জল স্থল এক করে দিল
জরায় ক্ষত ফুসফুস ডুবে আর ভাসে বানে
মিছিলে চলে শরণার্থীর মতো আশান্বিত বোধ;
নিজেকেই নিজেরা শুধায়-
সব গেছে? নাকি দিতে বাকি আছে কিছু শোধ?


তোমার কাছেই হিসাবের খাতা, রিপোর্ট কার্ড
হাত বাড়িয়ে আছি দেখো;
বাসি গোধূলির নিচে পরিত্যক্ত
ধবল ডানা জোড়া
ভাসছে বৃষ্টির জমা জলে-রক্তাক্ত;
দূরে ঝোলা কাঁধে অপেক্ষায়
মুখোশ মুখে ময়লা কুড়ানির দল-
কেজি মেপে বেচে দেবে,
ঠাঁই পাবে কোন উপাসনালয়ে-
দেবদূতের ডানা।


চেয়ে দেখ, সর্বনিরোধ কক্ষের দুয়ার খুলে বেরিয়ে এসেছি আমি,
রাতভর বসে আছি নক্ষত্রের সাথে,
একে একে সব নক্ষত্র মৃতের চোখের মতো  নিভে গেছে,
সড়কবাতিগুলো ঘুমিয়ে গেছে বাদুড়ের পাশে।
তোমার অপেক্ষায় ক্লান্ত সূর্য
অবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
আকাশের ধাপ ধরে চলে গেছে নিজ গৃহে;
শুধু আমি তোমার অপেক্ষায়-কখোন তুমি সিঁড়ির ধাপে রাখো পা।


একটা সিঁড়ির ক’টাইতো ধাপ-
তোমার লুকানো হাত বের করো,
কুড়ানীর দল নেবার আগে ডানাজোড়া নাও হাতে,
ধাপে রাখো পা,
সিঁড়িটি পার হয়ে এসো-
আমরা আবার একবার ডানায় ভাসি
আবার একবার জীবনের অর্গল খুলি।।