।।যাহার জন্য প্রযোজ্য।।


নোবেল , পুলিৎজার, ম্যাগসেসে, অস্কার,সোনালী ভাল্লুক-
আরে এগুলো তো শিল্পকলার ও সাহিত্যের মেইড ইন বিদেশ পুরস্কার।
এটা সংগ্রহে চাই মালকড়ি,চাই পাসপোর্ট , চাই জটিল ভিসার মোহর;
নাইটহুড? দূর ওটার জন্য চলে ম্যানহুডের কারবার
ও ব্যাটাদের তো উঁচু নাসিকা -পিনোচ্চিয়ো সিনড্রোম।
উঠোন পেরুলেই বিরাট দিঘী-
পদ্ম পাতার জলে ভাসে আরো কতো পুরষ্কার,
ইয়ত্তা নেই তার।
তবে তোমাদের ইচ্ছে হ’লেও
এসব মনি কাঞ্চন দিতে পারবে না-
আর আমিও উন্মাদ নই
ও সব চেয়ে গারদে যেতে নাহি রাজী।
তবে চাইলে তোমরা
আমাকে একটা দেশী মেডেল তো দিতে পারো,
সোনা রূপার পানি ধোয়া আখ্যানে তৈরী।
মেডেলের এখন খামতি আছে?
তা অবশ্য পড়তেই পারে- উৎপাদন কমে গেছে ,
দেশে দেশে কাঁচামাল করোনায় সয়লাব ,সব লকড ডাউন।
এতো ঝামেলায় গিয়ে নেই কাজ।
মেডেল দিয়ো না , থাক-
শুধু কাগুজে সনদ দাও একখানা,
কারুকার্য না থাকুক তার গায়ে আঁকা,
না থাকুক দূর্লভ মোঁ ব্লাঁ’র নীল স্বাক্ষর।
আছে না দশ টাকার বল পয়েন্ট?
কি বললেন , পেপারলেস? সব হয়ে গ্যাছে ডিজিটাল?
মানবিকতা, মনন, বোধ সব?
দারুণতো! জীবনতো তা’হলে স্যানিটাইজড্!
কিন্তু কিছু একটা ছাই ভস্ম
আমারতো জরুরী প্রয়োজন।
এ কাজটা নিদেন পক্ষে যায় কি করা,
সরকারী কোন দপ্তরের পরিত্যাক্ত কামরায় বর্জ হিসেবে রাখা ষাটের রেমিংটনে
একখানা পুরনো কাগজে টাইপ করে দুটো লাইন দিন না লিখে যে,
“ইহা তাহার জন্য প্রযোজ্য যিনি একদিন ‘মানুষ’ ছিলেন”;
বিশ্বাস করুন কোন সই সবুদ লাগবে না,
কাগজেতো রয়েই যাবে আপনাদের আংগুলের সীলমোহর।।