সাত সকালে ঘুমের ঘোরে কেন ডাকিস সখী,
এমন হিম বরফে কাঁথা ছেড়ে কেমনে খুলি আঁখি|
সেই কখন থেকে রসের পিঠা,গুড়ের মিঠা নিয়ে বসে আছিস তুই,
আরো এনেছিস মুগ ডাল অথবা চিংড়ি,ইলিশ,রুই|
এতো আয়োজন ছেড়ে কেমনে বিছানায় আর রই,
তাই তো এবার বাধ্য হয়ে তোর পিছু পিছু এগুই|
তোর কপালে দেখেছি আমি উষ্ণ ভালোবাসার চন্দন শীলা,
রাঙা চাদরের আশেপাশে তোর হাতের আদুরে পরশে আমি হয়েছি সজলা|


সখী কেন এতো ভালোবাসিস গো আমায়,কেন এতো সুনয়নে দেখিস গো আমায়?
যত্ন করে তোর আঁচলে মুখ মুছিয়ে ফেলবি না তো ছিন্ন কাঁদায়!
তোর অভাবে এই কাঙালের শুকোবে আকাশ মেঘের পশলা,
ভুলিস না তুই স্বপ্ন ডিঙ্গায় চড়ে,মিছে করিস না মোর বেলা!
সখী ভালোবেসে মনে রাখিস দিস তবু যাতনা,
সয়ে নিবো তোর সব ব্যাথা,জানে অন্তর্যামী তুই যে আমার হৃদয় মন্দিরের সুজনা!