ভালোবাসি চঞ্চলা রমণীর হাসি; চিত্রা হরিণ
ভালোবাসি সাগরের তীর ঘেঁষে বেড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভের বাঘিনীর প্রসব বেদনার কান্না।
ভালোবাসি নরম মাটির আলগোছে ডুবে থাকা বন্য পশুদের পদচিহ্ন
জানাই শত কোটি প্রণাম।


বাঙালির গভীর ধমনীতে নিমন্ত্রণ তোমার
যদিও আমি মুখ লুকিয়ে বাঁচি
এই কৃত্রিম জীবনে সাধ্যহীন কামনায়
তবুও বলছি আজও শুনে নাও
পাহাড়ের কোলে স্বপ্ন দেখে ফুরায় দুপুর।


কলের শব্দ, হিংস্র খুনি বসতি,  বিষাক্ত তরল আর ধারালো কুড়াল সব সময়ের মেপে যাওয়া ক্ষণিকের অতিথি
ভয় নাই ভয় নাই
তুমি প্রেমিকা আমার চোখে
শিল্পের দীর্ঘতর দেবতাত্মা
তাই বলছি-
কখনও সময় পেলে চলে এসো
আমার বুকে
অন্ধকার শীতল বিহ্বল প্রান্তে
আলোকময় লাইট হাউজ ডিঙ্গিয়ে
দেখি তোমার সুশ্রী মুখচ্ছবি প্রভাতে।


শৈশবে দেখেছি কুয়ার জল
দেখেছি চিকচিক বালুকায় নদীর চর
শুঁকেছি বাদাম পাতার ঘ্রাণ
যদিও আমি টানা বর্ষণের কামনায় আপ্লুত হইনি কখনও
তবুও দেখেছি বেলা শেষে ধুয়ে যায় কাঁকর মাটি আর ভিনদেশি পাথর
গাঙ্গেয় বদ্বীপের মুগ্ধ কাজল হয়ে হেসে ওঠে ঈশ্বর, তোমার ভেতর।


২৭ মে ২০২০, রংপুর বিকেল ৪:১৬