আমার শৈশবে কোন নদী ছিল না,
তাই কৈশোর কালে নদীর কাছে বারংবার ছুটে যাই।
কখনো ঘাঘট, কখনো ধরলা আবার কখনো কখনো তিস্তা।
নদীর বিদ্রোহী রুপ আমি কখনই দেখিনি,
শহুরে ছেলে ছিলাম বলে নদীর প্রেমে পড়িনি।
কিশোরীর প্রেমে পড়ার পর
যেদিন মনপাখিটিকে মনের কাছে পাইনি
সেদিন গিয়েছিলাম ঘাঘটের পাড়ে।
শরতের সুতোর মত জল বেয়ে যাচ্ছিল সেদিন,
কিন্তু আসমান জমিনে কোথাও কোন ঢেউ না থাকলেও
ঢেউ ছিল মনের ভেতর,
উথাল পাথাল ঢেউ
কলকলিয়ে বয়ে পড়ছিল গাঢ় অন্ধকারে।
ধূপের বাতাস গায়ে এসে লাগলো হঠাৎ
নিঃশ্বাসে কোথাও কামিনী ফুল কোথাও মরা পোড়ার ঘ্রাণ
এ কেমন কৈশোর আমার।
তিস্তাকে ভালোবাসার কথা কখনো মনে আসেনি
কিন্তু আজ হঠাৎ তিস্তার পাড়ে ভালোবাসি বলে
থমকে আছি
কারণ এখন তিস্তা যৌবনবতী
কিন্তু আমার বয়ঃসন্ধি কালে আমি আমাকে হারিয়েছি শহুরে রাস্তার বারান্দায় কোন এক অন্ধকারে।