কয়েক শতাব্দীর আগের গল্প
দিনের শুরুতে , সন্ধ্যায় মৃত্যু দাঁড়িয়ে
হাতছানি দেয় কলেরা, প্লেগ কালাজ্বর
বসন্তের বটবৃক্ষের আবছায়া বসে আছেন বিজ্ঞান
গাছের থেকে একে একে খসে পড়ছে তারা
বিস্তৃত পরীক্ষার সাক্ষী এই শতাব্দী
প্রশ্ন আসে মনে
কেন অসময়ে এই মহামারি? কেন এতো আতঙ্ক? কেন এই বিনাশ?
প্রশ্ন থেকে যায়, উত্তর নেই
জানতে চাওয়া কঠিন পাথর ঝলসে দেয়
এই শব্দ- স্বর
আমরা ঘিরে রয়েছি প্রতিটি মুখকে
সত্যতা খুঁজি শতাব্দীর শব্দ গুলোতে
তোলপাড় করে দেখি আমাদের স্পন্দে
আমাদের সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো জেগে ওঠে
স্বপ্নে
সচেতনতা গড়ে তুলি হৃদয়ে হৃদয়ে
তবে কেন এই শতাব্দী শুরুতেই মৃত্যুর ঢেউ?
নিরাপদ স্বরে বলছি, দেখছি, শুনছি
কি ভাবে মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে
অন্ধকার নেমে আসে চোখে
পায়ে পায়ে মৃত্যু প্রতিটি বাড়ির দরজায়
মূহুর্তে ঢুকে পড়ে নিজের ভেতরে
রুদ্ধশ্বাস শুধু প্রাণ থেকে প্রাণে
এক-একটা খবর কীভাবে উড়ে যাচ্ছে
এক-একটা মানুষ কিভাবে তারাদের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে
এই মৃত্যুর উৎসব ঘিরে ঘিরে নেচে উঠছে
এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হিরো
যার চোখের দিকে তাকালে ঝলসে দেয় শরীর
পুড়ে যাচ্ছি আমরা সময়ের ধারাপাতে
আজ চারদিক নিঃস্তব্ধ
বাসায় ফেরা পাখিদেরও শব্দ নেই তেমন
আকাশ থেকে তারাদের জল ঝরে পড়ে
বাতাস ভুলিয়ে দিচ্ছে সংসারসীমা
ঘুমের মধ্যে শরীর লাল, নীল, সবুজ বর্ণ ধারণ করে
অন্ধকার জ্বলে উঠলো হাজার হাজার শব
তবুও বাঁচার লড়াই
এই অবোধ পৃথিবীতে
তুমি আমি -আমার, তোমার, -আমাদের সকলের জানি
তাই তুমি আমাকে, আমি তোমাকে বাঁচাবো বলে তাই একটু দূরে দূরে
ধুলোতে নামিয়ে দিয়েছে মৃতদের হাড়
আসুন, এই শতাব্দীর শুরুতেই আমরা গৃহবন্দী হয়ে থাকি
মৃত্যুর থেকে বাঁচবো বলে
একবার সবাই মিলে নিরব হয়ে দাঁড়াই।