আত্মার শান্তির জন্য যে শব্দ একান্তে উচ্চারিত হয়
আমার জন্যও তুমি লিখে রেখো দু'একটা
কতদিন হল — ঈশ্বরের মেয়ে দীর্ঘ সে বিনুনি বাঁধে
তার মতো পড়ে আছে সমান্তরাল রেললাইন — আমাকে ডেকেছে।


ধাতব মরণ লোভে কতদিন একা একা হেঁটে গেছি!
সে -ই বন্ধু ছিল। সেই ব্রাত্য।সে-ই ছিল একমাত্র ভবিষ্যৎ
যাকে আমি নির্দ্ধিধায় বিশ্বাস করেছি- অপার আকাশ দেবে বলে
তখন আসোনি তুমি।তখন ছিলে না।তখন তোমার মতো


এরকম করে কেউ বলেনি আমায়— বাঁচো।এভাবে বাঁচতে হয়।
আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছি বলে প্রতিদিন ভেবেছি সে
গভীর গভীর কুয়ো।ভেবেছি সিলিং ফ্যান। রেললাইন ভেবেছি।
সেদিন আমার জন্য কোথায় অপেক্ষা করেছিলে? সে আসেনি তখন?


এভাবে বাঁচলে,তারপর মৃত্যু হল কেন? তারপর
কেন বলো,চলে যাবে? না,মৃত্যু বলো না। কোন অন্ধকার থেকে ফিরিয়ে এনেছে আর সারিয়ে তুললে কত যত্নে।
ভেঙে যাব,যদি আগে চলে যাও।স্তব্ধ হয়ে যাব।স্থির।


এই দ্যাখো, জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে দেহ,এই দ্যাখো
কণ্ঠ ফেড়ে উঠে এল রক্ত জমে থাকা। এই দ্যাখো
সমস্ত যন্ত্রের মধ্যে কীরকম উন্মাদনা ধ্বনি
কেমন বিদ্রোহ! তুমি যদি মৃত্যু  বলো, আমি মৃত্যু শুনি।