আমরা আর চুপ করব না!
তোমরা ধর্ষণ করবে?
করো -
কেননা, তোমরাতো পশুর চাইতেও নির্লজ্জ্ব
পশুবৃত্তি চরিতার্থ করতে তোমাদের বাধেনা,,
আমরা চুপ করে থাকি?
তোমরা আমাদের শরীর ছিঁড়ে নাও,
আর আমরা শুধুই অসহায়ের মতো
বিচার ভিক্ষা করি?

না!
আর নয়–
আমরা আর চুপ থাকব না -
এই শরীর এখন অস্ত্র হয়ে উঠেছে!
এই চোখ শুধু জল ঝরাবে না—
এই চোখ আজ
চিহ্ন আঁকবে পিশাচের মুখে!
এই মুখ আজ গেয়ে উঠবে
ধ্বংসের গান, নাচবে বিদ্রোহের কালভৈরবী নাচ!

তোমরা ধর্ষণ করো
মসজিদে, রাস্তায়, মন্দিরের ছায়ায়,
আমার শয়নকক্ষে
ধর্মের নামে, ক্ষমতার দম্ভে—
আমার শরীরকে বানিয়ে তোলো
নোংরা উৎসবের উৎস।

তোমরা বলো,
“সে আধা কাপড় পরেছিল।"
সে তো তোমাদের ফতোয়া, কিংবা মিথ্যাচার।
আমি বলি—
তোমার চোখটাই ধর্ষক!
তোমার মনটাই নোংরা!
ডাস্টবিন থেকেও বেশি কুৎসিত।

তোমরা বিচার করো না,
শুধু ধর্ষণ করতে চাও।
আমরা কি গরিবের বউ বলে সকলের ভাবি নাকি?
নাকি আমরা গরিবের গাছের কাঁঠাল—
সুযোগ পেলেই কোষ খুলে খাবে?

তোমরা কেবল হ্যাশট্যাগ ভালোবাসো,
প্রচার ভালোবাসো,
নির্বিকার রাষ্ট্রও ভালোবাসে।
ধর্ষকেরা দলীয় পরিচয় দিয়ে সাধু বনে যায়
তোমাদের এ অপকৌশল আজ সার্বজনীন।

কিন্তু,
আমরা আর ভালোবাসি না—এই রাষ্ট্র,
এই আইন, এই নীরবতা! এই নির্লিপ্ততা!
আমরা এখন বিদ্রোহের কবিতা লিখি,
রক্ত দিয়ে, অশ্রু দিয়ে, আগুন নিয়ে খেলি।
তোমরা ভুলেই গেছ–
আমরা মা, আমরা মেয়ে, আমরা বোন—
আমরা মাতৃশক্তি দুর্গা— সৃষ্টি, স্থিতি, লয় আমাদের হাতে।

আমরা গৃহবন্দি নই,
আমরা শো-কেসের বাহারি পুতুল নই।
আমরা সম্মিলিতভাবে জেগে উঠেছি প্রতিরোধের আগুন নিয়ে।
আমরা যুদ্ধঘোষণা করছি— এই বর্বরতার বিরুদ্ধে।

আমরা আর চুপ করব না।
আমাদের শরীর আজ আর দেয়াল নয়— যেখানে পোস্টার লাগাবে।
আমরা আগ্নেয়গিরি, আগুনের লাভা!
তোমাদের শ্বাস বন্ধ করে দিতে পারি আমরা।

পালাবে?
সে পথ আজ আর খোলা নেই।
আমরা এখন প্রতিটি ধর্ষিতার পেছনে দাঁড়িয়ে—
এক মিছিল, এক আগুন, এক প্রতিশোধ!
এই সমাজ, এই ধর্ম, এই ক্ষমতা—
তোমাদের বিচার হবেই— হবেই এবং হবেই।