ডায়েরি করতে থানাত এসে
বেশ নাজেহাল ভোলার মামা
গোমড়ামুখো অফিসারের
দেখে গরম মেজাজ খানা ।
বলেন মামা,"ডায়রি করবো
আমার বাড়িতে মস্ত চুরি"!
অফিসার ব্যস্ত ছিলেন
খাচ্ছেন তখন ডালপুরি ।
বল্লেন," কাজে ব্যস্ত আমি
পাচ্ছি না তো সময় খুঁজে,
যেই না কিছু দিচ্ছি মুখে
অমনি এলেন সুযোগ বুঝে!"
খেয়ে দেয়ে মুখটা মুছে
বলেন,"এবার প্রশ্ন করি
ভেবে চিন্তে ঠাণ্ডা মাথায়
ন্যায্য জবাব দিনতো তারই ।
চোরটা কেমন দেখতে শুনি ?
ভীষণ লম্বা? নাকি বেটে,
চুরি করেই পালিয়ে গেল?
দৌড়ে গেল, নাকি হেঁটে ?
হোঁৎকা মোটা চেহারাটা ?
কিম্বা রোগা পাতলা হ্যাংলা,
ইংরাজিতে কথা বলে ?
নাকি বলে শুধুই বাংলা !
গায়ের রংটা মিশকালো তার ?
নাকি তপ্ত সোনার বরণ !
ছোট্ট খাট্ট পা দুখানা ?
অথবা তার মস্ত চরণ !
মাথা ভর্তি চুলের বাহার ?
নাকি তার ইন্দ্রলুপ্ত !
পারিবারিক নামটা তার
বিশ্বাস না  দত্ত গুপ্ত ?
কিছুই আপনি দেখতে পাননি
ঘুটঘুটে ওই অন্ধকারে ?
চোর পালাতেই বুদ্ধি বাড়লো
ভাবলেন আসি ডায়রি করে !
নাম ধাম কিছু জানাতো নেই
নেইতো কোনো তত্ব-তালাশ
পুলিশ ঘুরে মরুক এবার
ডায়রি করেই আপনি খালাস !"
ঘাবড়ে গিয়ে ভোলার মামা
বল্লেন, "স্যর রাত্রি বেলায়
ঘুমোচ্ছিলাম নাক ডাকিয়ে
অন্ধকারে লেপের তলায়।
চোর এসেছে চুপিসারে
জানতে দেয়নি মোটেও,তার
আছে যে এক লম্বা চওড়া
মস্ত বড় গোঁফের বাহার ।
জিনিসপত্র চুরি করে
গোফেতে তা' দিচ্ছে যখন
শব্দ শুনে জেগে উঠে
লেপ সরিয়ে দেখি তখন ।
থানায় ঢুকে তাকিয়ে দেখে
অবাক হয়ে দেখলাম আর
আপনারও তো নাকের নীচে
সেই রকমই গোঁফের বাহার !
সূত্র বলতে এইটুকু যা
বলতে পারি মনে করে,
এবার আপনি দেখান দেখি
এলেম আপনার, চোরকে ধরে।