এ্যাই মেয়ে, তুই বলনা কী চাই ?
সম্মান চাস? কী করে দেই,
হতিস যদি ছেলে,
যোগ্যতা থাক কিম্বা না থাক
ভাল কিম্বা মন্দ সে হোক
পেতিস হেসে খেলে !
এ্যাই মেয়ে, তোর নিরাপত্তা ?
দেখছি না তার যৌক্তিকতা,
স্বাধীন নাকি তোরা !
যদি তোদের ইজ্জত যায়
বলবে সবাই হায় রে হায়,
দোষী তো অধরা !
এ্যাই মেয়ে, তুই ভাবিস কী রে
সারা জীবন আয়েস করে
থাকবি নাকি সুখে ?
কেমন করে সম্ভব তা ?
উৎসর্গ তোর জীবনটা যে
পরের সুখে দুঃখে !
এ্যাই মেয়ে, তোর সাহসটা যে
দেখতে পাচ্ছি গেছে বেড়ে !
এবার যাবি ফেঁসে,
পাল্লা দিয়ে লোকের সাথে
ফল পাবি তুই হাতে হাতে
হারিয়ে যাবি শেষে।
এ্যাই মেয়ে, তুই রাখিস মনে
যতই ভাবিস প্রতি ক্ষণে
অন্য মেয়েও তো আছে,
কিন্তু কোনো বিপদ হলে
দেখবি তখন দু'চোখ মেলে
কেউ নেই তোর কাছে ।
এ্যাই মেয়ে, তুই ভাবিস নাকি
দূর্গা, কালী, মহালক্ষ্মী
পূজা করে বলেই
পুরুষেরা সম্মান দেয় !
তবে আর ভয়টা কোথায় ?
গেছে তাদের বয়েই ।
এ্যাই মেয়ে, তুই দেখ না চেয়ে
তোর মত ঠিক একটি মেয়ে
অভয়া তার নাম,
তার ও ছিল সাহস বড়
কাজ-কর্মে ভীষণ দড়
তার কী পরিনাম !
এ্যাই মেয়ে, শোন লিখলাম যা
আমার মনের কথা তা' না
মনের জ্বালায় লেখা,
পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে
পণ্য তোরা ! বুকে বাজে
এ সব ভেবে দেখা ।
এ্যাই মেয়ে, শোন বলছি আজ
তোদের শক্তি তোদের কাজ
অনেক শুদ্ধ মন,
পুরুষ যদি শ্রদ্ধা করতো
সবাই যদি বুঝতে পারতো
মধুর হতো জীবন !
এ্যাই মেয়ে, আজ মানলে সবাই
শ্রেষ্ঠ তোরা, এই সত্যটাই,
তখন আসতো সাম্য,
শ্রদ্ধা, শান্তি, পরমানন্দ
জীবনটাতে থাকতো ছন্দ
সেটাই ছিল কাম্য ।