বছর বছর আসে না পূর্ণিমার চাঁদ
আমাদের  ভাঙা ঘরের মাথায়


আর সে যখন আসে আমাদের সংসারে আনন্দের প্লাবন ডাকে
মায়ের উপোসি উনুনে ফের ভাতের হাঁড়িটা
টগবগ টগবগ করতে করতে  কী সুন্দর একটা গন্ধ ছড়ায়।
সে আসে মানে  আর অমাবস্যার কথা আমরা আর মনে রাখতে চাই না
সে আমার ভেঙে পড়া মাটির দেওয়ালে জ্যোৎস্না মাখিয়ে দেয়
খড়ের চালের বিষণ্ণ বাঁশের খুঁটিকে আবার সোজা হয়ে দাঁড়াতে শেখায়
ছিন্ন খড়ের চালায় এসে শ্রবণা,অশ্লেষা, কৃত্তিকা লুব্ধক আর রোহিণী নক্ষত্রদের হেসে লুটোপুটি খেতে দেখি
তখন কতটা  সুখ এল আমার বাড়িতে
সে হিসেব রাখি না,
কতটা বৈভব ধারণা করতে এল আমাদের
তাতেই আমার বয়েই গেল।
ওই একটুকরো পূর্ণিমার জন্য হেসেখেলে  অনটনের মধ্যে কাটিয়ে দিতে চাই।