একা একা ঘুম আর আসেনাকো চোখে
নিশিত আঁধারে রাতের পাখি ডেকে যায়
খুঁজে জানি কারে,
স্বপ্নেরা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ছুটে চলে হিমেল বাতাসে
এতটুকু আলো হাতে কোন সে বিরহী
জোনাকিরে বুকে ধরে কাঁদে ।
ধাবমান ইচ্ছেরা হাত ছেড়ে দিতে চায়
জীবনের অনীহা তারে করিতেছে তাড়া,
অন্ধকারে দেখিনাকো পৃথিবীর মুখ
অস্পষ্ট আবছা ছায়ায় কে যেনো পায়চারি করে
চেয়ে দেখি তোমার প্রতিমূর্তি হিংস্র বাঘের ভয়ে হরিনের মতো হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমে,
যতদূর চোখ যায় চেয়ে থাকি
পাতার সবুজ গাল বেয়ে নেমে যায় কষ্টের ধারা।
যারে আমি ভাবিয়াছি আপন
ভাবিয়াছি একদিন নেবো কাছে আপনার মতো,
সেও দেখি বাস্তবতার কঠিন পাথর চাপা
এ সমাজের অক্টপাসেরা অবয়ব ঘিরে টানে
গহীন অরণ্যের দিকে,
নিরুত্তর থেকে গেছে অনেক প্রশ্নের সারি
বহমান জীবনের কাব্যকথা গুলি বিবর্ণ মলিন
ইচ্ছের মরণ গড়েছে নীরব শ্মশান।
বিনিদ্র সময়ের ঘড়িটা যদি
একবার থেমে যেতো,
রাতটা আরো দীর্ঘায়ীত হতো
আমি চুপচাপ অপেক্ষায় আরো কিছুক্ষন থাকতাম,
বিশ্বাসের ইমারতের দেয়ালের আস্তরণ খুলে দেখতে পারতাম তার পাঁজরের কষ্টগুলি
কি করে লেপ্টে ধরে থাকে অনাদিকাল।
লোকালয়ের ব্যস্ততা