তোমার মনের আকাশে
কেন এত দ্বিধা,
তাই পূর্ণিমার চাঁদটাকে ফিকে লাগে!


কেন রেখেছো বন্ধ করে
দক্ষিণের জানালাটা,
বাসন্তীক অনুরাগে
হিমেল বাতাস এসেও যায় ফিরে!


তোমার কি লাগেনা ভালো
ঘাসের ডগায় ঐ  জল কনা,
কেমন দীপ্ত সে নব প্রভাতের
উজ্জ্বল কিরণে!


নিজের একাকিত্বের বেণু-বনে
এখনো রইবে তুমি!
তাই নিশীথ রাতের কালপেঁচারা
আজও নৃত্য করে সংগোপনে!


কবে তুমি আমায় বুঝবে
আমার এ নৌকা রেখেছি বেঁধে
তোমারই মনের আকাশে!


জীবনেরই খেয়া ঘাটে
আজও কেন তুমি
পাগলপারা ,উদ্ভ্রান্ত
দখিণা বাতাসে তাই
অবিশ্বাসের ভ্রুকুটি  !


কেন তুমি মান না আজও
তোমার হৃদ আকাশের
প্রতিটি অণু পরমাণু,
স্রষ্টার সৃষ্টির মাঝে
একরাশ তাজা বাতাস,
বাজায় বেনু নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে !


ক্ষণিক জীবনের এই খেয়া ঘাটে
আমি এক মাঝি অপেক্ষমান,
উড়ায়ে পাল তর তর বেগে এসো
যত দ্বিধা মান অভিমান ত্যজি!
অপেক্ষায় আছি থাকবোও চিরদিন
এ জন্ম শেষে পরজন্ম বলে
যদি কিছু থাকে!