হলদিনদী হেঁটে সোজা  মেহগিনির পথ পেরিয়ে দেখা যায় এক পোড়োবাড়ি
হাল্কা কুয়াশা সরিয়ে আমার মা সেখানে ঘুমায়
ভালোবাসার জন্য শ্যাওলাভরা পোকামাকড় ঘরে
সুনিপুণ ভাবে বসে অবাক কথায় লিখে রাখে প্রাণ
অজস্র অক্ষর মুখ মায়ের গায়ে ঝুলে আছে প্রকাণ্ড পুস্তক গাছ

মা উঁকি মারে, আমার শরীরে ব্যথা লেগে আছে কিনা
পোড়োবাড়ির উঠানে কান্নার জল ভিজে আছে মাটি জুড়ে
অব্যক্ত কষ্ট কথা সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের স্নান ঘরে
আমি অপেক্ষায় থাকি মায়ের শরীরী ঘ্রাণে
ভীড়করা গাছেদের ছায়ার নিচে মা দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ

আমার দুষ্টুমিগুলি  সান্ত্বনা খুঁজে  আড়ালে আবডালে ঘুরে
গোধূলি  আলোর সাথে  উড়ে আসা হাসি বিস্ময় করে
আমার শৈশব, কৈশোর ও যৌবন পড়ে আছে মায়ের খোলামেলা ঘরে
রাত হলে  ক্রমশ কয়েকছটা জোছনার  আলো ছড়িয়ে দেয় স্মৃতির পরে।