মধ্যদুপুর  
বৈশাখের  পাকা রোদ
সারা রাস্তায় মরিচীকা  খেলা  করে
বাসের ঠিকানা  শুরু
ধর্মতলা  মোড়ে
ফিরছি আমি আপন ঠিকানায়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
উচ্চশিক্ষায়  ভর্তি হয়ে
দুঃখের  মাঝে মায়ের কথা
পড়ছিলো মনে
বাসের মাঝে
ভবিষ্যতের পথের কথা
ভাবতে ভাবতে
ঘুম ধরে যায়


হঠাৎ  করে ভীড় জমে
হাসপাতালের আয়নায়
জ্ঞান শূন্য  হাসপাতালের  বিছানায়
চোখ খুলে  দেখি শুধু
পুলিশ , ডাক্তার  ঘিরে  আমায়


দুপুর  পেরিয়ে গভীর  রাত তখন
শুনতে পাই  বড়োসড়ো দুর্ঘটনায়  
প্রাণ  বাঁচে আমার
কাছে নেই প্রিয়জন, নেই বাবা, মা
একাকী  শুয়ে পুলিশের  জামানায়
প্রিয় জন সাজে প্রিয় ডাক্তার  
মুহূর্তে  গাড়িতে নিয়ে
চলে আমার ঠিকানায়
সেদিন পথের আলোরা কেঁদেছিল  রাতে
আমি যন্ত্রণায়  ডাক্তারের  কোলে


বাড়িতে  মৃত্যুর  খবর  ভেসে আসে
মা পাগলের  বেশে ছুটছে সেই রাতে
মাঝপথে  আমায় পেয়ে জড়িয়ে চুম্বন  করে
দারিদ্র্য বুকে নিয়ে যাই আর এক প্রিয়জনের  কাছে
নিমেষে  সব স্নেহ   উজাড় করে।


অর্থের টানাটানি  চিকিৎসার  শুরুতেই  
মারামারি  আর বিবাদ দাদাদের সাথে
সব ছেড়ে বাবা আমার করে আয়োজন  
অভাবের  তাড়নায়
চিকিৎসার  হয় অঘটন


কুড়িবছর আগের একদিন  
আজও  মনে করি
মা নেই, বাবা নেই
চিকিৎসারও ঘাটতি নেই আর


মাঝে মাঝে  সেদিনের  কথা
বেশ মনে পড়ে


কুড়িবছর আগের একদিন  
আর আসেনা ফিরে।