নীরবে নিজেকে পোড়াই তুষের আগুনে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ধীরে ধীরে উড়ে যায় ছাই,
স্মৃতিরা ধোঁয়ায় মিশে কোথা কোন খানে—
বেদনার বালিচরে মিছে, মুক্তা কুড়াই।

দিনান্তে সূর্য ডোবে, ঘরে ফেরে পাখি
দিবসের কথা জ্বলে, নীরব দহন;
চোখে চোখে কারে রাখে করে ডাকাডাকি—
বেদনার কঠিন পাথর চেপে রাখে মন।

প্রতিধ্বনি বাজে বুকে, ব্যথার আনাগোনা
নিঃশ্বাসের প্রতি ধাপে জড়ানো দীর্ঘশ্বাস;
এ জীবন ফুরায় বৃথাই, শত লেনাদেনা,
আবার হবে তো দেখা? শঙ্কিত বিশ্বাস।

একাকীত্ব ঘিরে রাখে, ডাকে মহাকাল
সাথের সাথীও কাঁদে দিশাহীন পথে;
তবুও আঁকড়ে ধরি স্মৃতির কঙ্কাল—
পৃথিবীতে আসা-যাওয়া, শূন্য খালি হাতে।