আজ আর কেউ আমাকে কেবল টোকাই বলে না—
আমি আছি দেয়ালে আঁকা পোস্টারে,
আমি আছি গান আর কবিতার ভিতর,
আমি আছি সেই চোখে—
যে চোখ রাজপথে স্বপ্ন খোঁজে।
একজন টোকাই মানে আজ লাখো বঞ্চিত মুখ,
আমার জীর্ণ জামার ছেঁড়া অংশে
তারা বুনে নিচ্ছে পতাকা—
যার রং লাল, কষ্টে ভেজা।
তারা বলে—
“ওই ছেলেটি তো আমাদেরই রক্ত!”
যে লড়েছে, চুপ থাকেনি,
যে বুক চিতিয়ে বলেছিল—
‘আমিও মানুষ!’
এখন যখন কোনও শিশু ফুটপাথে ঘুমায়,
কোনও মা পলিথিনে পেঁচিয়ে রাখে নিজের কান্না—
তখন তারা মনে করে,
টোকাই আবার জেগে উঠবে।
আমার পায়ে এখন শিকল নেই,
আমার কণ্ঠে এখন হাহাকার নয়—
সংগীত আছে, আগুন আছে,
আর আছে স্বপ্ন, পৃথিবী বদলানোর।
আমি প্রতীক—
মূর্ত প্রতিক বিদ্রোহের
শ্রমে ও ঘামে গড়া এক বেদনার মূর্তি,
যা একদিন ভাঙবে
তোমাদের তৈরি অমানবিক সভ্যতার
জমানো ঠিকানায়