একটি কবিতা সারারাত  ধরে  লিখি


একটা অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে


লক্ষ লক্ষ শহীদ প্রেমিক অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে


ভোর থেকে মেঘের  আড়ালে  সূর্যও  অপেক্ষায়


জনসমুদ্রের  মাঝে জিজ্ঞাসা  ‘কখন আসবে কবি?’


এতো বিস্তৃত  রাস্তা  ছিলো  না সেদিন,
এই গাছে  গাছে  ফুলে  ফলে ভরা ছিলো না সেদিন,


শিশুপার্ক , নদীকথা এসব তেমনও ছিলো না সেদিন


ছিলো  না  এই ছায়া ঘেরা ঠাণ্ডা মাখা সকাল
ছিলো  না ধোঁয়াটে  আঁকা  বিবর্ণ বিকেল



তা হলে কেমন ছিলো  সেদিনের প্রহর?


কেমন ছিলো  রাস্তা , পার্ক,, নদী যাপন  ইতিহাস?
সবকিছু  এই ভাঙা  হৃদয়ে প্রশ্ন করে



জানি, সেদিনের সব ছবি মুছে যাবে
এই অবাক  প্রশ্নের  কাছে



তবুও  কবির আশায় বসে থাকা নিবিড়  ছায়া


এযেন কবির  প্রতি  কবির  লড়াই


এ লড়াই  শব্দের  প্রতি
এ লড়াই স্বাধীনতার প্রতি


বারবার  বিরুদ্ধে খেলে


মেঘের  বিরুদ্ধে  মেঘ
কবির  বিরুদ্ধে  কবি
সকালের বিরুদ্ধে  সকাল
বিকেলের বিরুদ্ধে  বিকেল


বাঁচার বিরুদ্ধে  বাঁচার লড়াই


হে আগাত অবোধ  শিশু , তুমি
শব্দ  মুখে  নিয়ে অনাগত কবি


তোমাকে পার্কের দোলায়  দুলতে দেখি
তখনও  ভেবে যাই
এই ভেবে


লিখে  যাই আমার সকাল -বিকেল


সেদিনের এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।


যেখানে ছিলো  না এই আকাশ,
যা আজ দিগন্তে  বিস্তৃত



আমাদের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল


এই ধু ধু মাঠে


শ্রমিক,  উলঙ্গ কৃষক আর
চোখে  দেখা যুবক
যারা মৃত্যু  আর স্বপ্ন নিয়ে
এক নতুন বাঁচার অপেক্ষায়


চেয়ে আছে সেই কবির  আশায়


সে কখন  আসবে?  মানুষের  কবিতা শোনাবে -



চুয়াত্তর বছর দীপ্ত  পায়ে হেঁটে  হেঁটে


আজ কবি জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।


যেখানে  মানুষ  দিশেহারা , ভয় মাক্স পরে দাঁড়িয়ে


অসংখ্য  মানুষের  ঢেউ
সেখানে  লেগেছে  মহামারি


তবুও  কবির কবিতার  জেগে উঠেছে
সচেতনতার বেদ মন্ত্র
গণসুর্য্যের মঞ্চে দাঁড়িয়ে
কবিতায় বাঁচার মন্ত্র - 'মুক্তি সংগ্রাম '


নতুন  করে  স্বাধীনতার  সংগ্রাম


যেখানে  উঠে  আসে  অতীতেরকথা


সেই থেকে  কবিতায়
কবিরা  মানুষের  চোখে জাগিয়ে  তোলে-


"স্বাধীনতা" - এই শব্দটি।