নিয়েছিলে কি একবারো খোঁজ
রাত বারোটার পরে?
ভেবেছিলে কি আমার কথা
একলা বসে ঘরে?


আমি যখন বালিশগুলো
ভেজাচ্ছিলাম জলে,
একবারো কি পড়েনি মনে
নোটিফিকেশন এলে?


আমার মতো তোমারো বুঝি
পুরোনো স্মৃতি ভেবে,
আসছিলো ওই নয়ন থেকে
নোনা বৃষ্টি নেবে?


ভোর ছয়টায় তোমার কথা
ভীষণ মনে পড়ে,
তুমি কি তখন ব্যাগটি কাঁধে
ছুটছো পাঠের তরে?


সকালে আজ যাইনি পড়তে
শুয়ে শুয়ে কাটে বেলা,
বহুদিন পরে তোমায় ছাড়া
কাটলো সকালবেলা।


ফুরাচ্ছে না টকটাইম আর
করছে না কল কেহ,
কেঁদেছি তব চিৎকার করে
বদ্ধ করে গৃহ।


শুনছে না কেউ কান্নার আওয়াজ,
কে আছে তুমি ছাড়া?
তোমার ছবিই হাতে নিয়ে
করছি নাড়াচাড়া।


তুমিও বুঝি একলা একা
কাঁদছো আমায় ভেবে,
ভাবছো বুঝি, "কখন জানি
কল বা মেসেজ দিবে।"


দুপুর যখন তিনটা বাজে
উঠলাম বিছানা ছেড়ে,
একটু পরেই ফের সজ্জা
জল-খাবারের পরে।


শুয়ে শুয়ে ভাবছি আবার,
কল্পনাতে তুমি।
তখন তুমি ফিরছো পড়ে,
এই ভাবনায় আমি।


দিন গড়িয়ে বিকেল হলো
তবু দেখিনি আলো,
আমায় ফেলে তুমি একা
আছো কি এখন ভালো?


সারাদিন ভর পাইনি কোনো
জনমানুষের দেখা,
সকাল থেকে বিকেল হলো
দিনটা কান্নামাখা।


আধঘন্টা পরেই আবার
সূর্য যাবে ডুবি,
রাত্রিভরা ফের বেদনা
কষ্ট দিবে খুবই।


সন্ধ্যা থেকে শুরু হতো
আমাদের কথা বলা,
আজ সন্ধ্যা কাটবে একা
সইবো আমি জ্বালা।


ঘুম না আসা রাত্রিবেলায়
পড়বে আমায় মনে?
চোখ বেয়ে কি আসবেনা জল,
কাঁদবেনা গোপনে?


একদিন, দুদিন, তিনদিন যাবে
এভাবে আর কদিন?
শুনবে হঠাৎ দুঃসংবাদ,
অপেক্ষা কিছুদিন।


জ্বরভরা গায়ে এপাশ-ওপাশ
নিচ্ছে না কেউ খোঁজ,
এভাবেই বুঝি কাটবে জীবন
কষ্ট পাবো রোজ।


বইটি নিয়ে বসলে পরে
চোখ হয়ে যায় ঘোলা,
নোনা জলে ভরে নয়নজোড়া
এভাবেই কাটে বেলা।


এভাবেই বুঝি কাটবে কদিন
জমবে মৃত্যুক্ষুধা,
হঠাৎ করেই ফুরিয়ে যাবো
মিটবে মরণক্ষুধা।


কি জানি কবে হবে ফের কথা,
ভালোবাসা আজ নিও,
আজ আর নয়, এবার তবে
বিদায় জানাই প্রিয়।