নিঝুম রাতে দাঁড়িয়েছিলাম
আঁধার পথের বাঁকে,
কেউ একজন ভয় দেখিয়ে
ডাকলো পিছন থেকে।


ভয় জড়ানো হৃদয় নিয়ে
পশ্চাতে চাহিলাম,
দোয়া-কালেমা পড়তে পড়তে
শুধিলাম তার নাম।


ভেবেছিলাম, হবে হয়তো
ভূত-পেত্নী-জ্বীন,
নাম শুধিতেই বললো, "আমি
সাবরিনা শারমিন"!


নামটি আগে শুনি নাই কভু,
চিনিনা আমি তাকে,
তবু কেন পেছন থেকে
ডাকলো সে আমাকে?


ভেবেছে আমায় পরিচিত
ভেবেছে চিরচেনা,
এই ভেবে সে দেখিয়েছে ভয়
তবে আমি অচেনা।


পূব আকাশে চন্দ্র এলো
হাসলো যে পূর্ণিমা,
দেখলাম তব তার চেহারা,
গায়ে ছিলো সাদা জামা।


পা দুটি তার আলতা রাঙা
নয়ন কাজল-কালো,
হাতে মেহেদীর নকশা আঁকা
মুখটি চাঁদের আলো।


নজরকাড়া রূপ যে তাহার
মাথায় লম্বা কেশ,
জ্যোৎস্নামাখা আলোয় তাকে
লাগছিলো যে বেশ।


পথের ধারে পুকুরপাড়ে
রাত্রি গভীর হলো,
"রাত হয়েছে, আসছি এখন।"
এই বলে চলে গেলো।


নিজের ঘরের দোরটি খুলে
এলাম গভীর রাতে।
পাখির ডাকে ভাংলো নিদ্রা,
উঠলাম জেগে প্রাতে।